ফের সংঘাত রাজভবন ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। আচার্য ছাড়াই সম্পন্ন হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সমাবর্তন মঞ্চে ফাঁকাই থাকল আচার্যের চেয়ার।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : আচার্য ছাড়াই সম্পন্ন হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সমাবর্তন মঞ্চে ফাঁকাই থাকল আচার্যের চেয়ার। ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল টানটান নাটক। এদিন সকাল থেকে একটা প্রশ্নই সকলের মুখে ছিল এই অনুষ্ঠানে আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস উপস্থিত থাকবেন কি না। তার কারণ এবারের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিল রাজভবন। রাজভবনের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট না মেনে তাড়াহুড়ো করে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ বেআইনি’ বলে অ্যাখা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। চিঠিতে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল কিছু দিনের মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। তাঁর হাতেই সমাবর্তন করা উচিত ছিল বলে চিঠিতে মতপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। আচার্যের আপত্তি স্বত্তেও সমাবর্তনের আয়োজন হয়। তবে সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত জানান আচার্যের সম্মতি পাওয়ার পরই সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবর্তনের দিন আচার্যের জন্য অপেক্ষাও করা হয় বেশ কিছুক্ষণ।
পতাকা উত্তোলন করতে গিয়েও থমকে যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আচার্য আসবেন কি না, এই সংশয়ে কিছুক্ষণ থমকে ছিল পুরো প্রক্রিয়াই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল না আশায় ফাঁকাই রইল চেয়ার। এদিন বেশকিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর শুরু হয় যাদবপুরের সমাবর্তন। প্রসঙ্গত রাজভবনের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘাত এই প্রথম নয়। গতবছরও এই সমাবর্তার অনুষ্ঠানকে ঘিরে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল আচার্যকে ছাড়াই সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিল। এবারও আরও একবার সংঘাত প্রকাশ্যে এল। এবার নির্দিষ্ট নিয়ম না মেনে সমাবর্তন হচ্ছে বলে দাবি রাজভবনের। এই সমাবর্তন নিয়ে গত সপ্তাহে বৈঠক হয় আচার্য-উপাচার্যের মধ্যে। এরপর রাজভবনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চিঠি যায়। যেখানে উল্লেখ ছিল কিছু দিনের মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। তাঁর হাতেই সমাবর্তন করা উচিত ছিল। তার আগে এত তাড়াহুড়ো করে সমাবর্তনের কোনও প্রয়োজন নেই সেই চিঠিতে মতপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল।। রাজভবনের চিঠিরও পরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ সেই ব্যাখ্যাকে সামনে রেখে সমাবর্তন করা হয়। তাতে দেখা গেল সমাবর্তন হল কিন্তু ফাঁকা থাকল আচার্যের চেয়ার।