ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: সোমবার মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫৪তম বর্ষ পালন করতে চলেছে বাংলাদেশ।দিনটি ভারতীয় সেনা বাহিনীও বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে। কিন্তু ইউনুসের সরকার এই দিনটিকে গুরুত্ব দিতে চাইছেনা। ইউনূস সরকার এবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের যুক্তি, সেনা বাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত বলে কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় দেশবাসী। অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানের প্রতি সখ্যের বার্তা দিতেই ইউনূস সরকার কুচকাওয়াজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজনীতির বাইরে থাকা মানুষও এতে বিরক্ত। এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে শুক্রবার রাত থেকে দেশের নানা প্রান্তে সভা-সমাবেশ করল আওয়ামী লিগ।
ঢাকা-সহ দেশের সব বড় শহরে একাধিক সভা হয়। সূত্রের খবর কোথাও কোথাও পুলিশ ও সেনা এসে বাধা দিলেও বেশিরভাগ জায়গায় তা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের ভয়ে স্থানীয় মিডিয়া আওয়ামী লিগের এই কর্মসূচি সে অর্থে সামনে নিয়ে আসছে না। ইউনুস সরকার পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্ব প্রকাশ কোরতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে ফিকে করার চেষ্টা করছে। ১৬ ডিসেম্বর হল পাকিস্তানের জন্য এক চরম অস্বস্তিকর দিন। ১৯৭১ সালের ওই দিন ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক সেনা বাহিনী। কলকাতায় ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠানো নিয়ে শুরুতে গড়িমসি করেছে ইউনূস সরকার। ভারতের বিদেশ সচিবের ঢাকা সফরের পর সিদ্ধান্ত বদলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর সূত্রের খবর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কলকাতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে।