সেলফি তোলা বা ফেসবুকের জন্য রিলস্ তৈরি করা এখন খুব ট্রেন্ডিং। কিন্তু তা করতে গিয়ে অনেকেই বিপদের মাত্রাকে উপেক্ষা করে। ফলে ঘটে মারাত্মক বিপদ। এমনকি হয় প্রাণহানির ঘটনাও। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর এর কেশিয়ারিতে ঘটা এমনই একটি ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা কে।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- বুধবার রাজ্য বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে হাতির হানা নিয়ে প্রশ্ন করেন বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। তিনি জানতে চান হাতির হানায় যারা মারা যান তাদের পরিবারকে সরকার এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা দেয়, কিন্তু হাতির হানায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকলে তাদের জন্য সরকার বা বন দফতর আলাদা করে কিছু করে না। ফালাকাটার একটি সাম্প্রতিক ঘটনার উদাহরন দিয়ে দীপক বর্মন বলেন, একজন ব্যক্তি হাতির হানায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে সরকার বা বন দফতর কিছু ভাবনা চিন্তা করছে কি না তা জানতে চান বিজেপি বিধায়ক। উত্তরে বনমন্ত্রী জানান রাজ্য সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করা হয়।
এদিন বিজেপি বিধায়কের আরেকটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বনমন্ত্রী কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করে বলেন কিছুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুর এর কেশিয়ারিতে এক যুবক হাতির পালের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে ফেসবুকের রিলস্ বানাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে বনদফতর বা সরকারের কিই বা করার থাকতে পারে। সাধারন মানুষ কেই এই বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে বলে জানান বীরবাহা হাঁসদা।