সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- জঙ্গি কার্যকলাপ সক্রিয় জম্মু- কাশ্মীরে, এমনটাই খবর ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই জম্মু- কাশ্মীরসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এনআইএ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানের এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই জম্মু- কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশে বড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনাবাহিনী। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় ৫ জঙ্গিকে এনকাউন্টার করে নিকেশ করা হয়। কুলগাম জেলার খাদ্দের এলাকায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর ছিল নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী ও জম্মু- কাশ্মীর পুলিশ। এই তল্লাশি অভিযানে আসে সাফল্য। তবে ওই এলাকায় আরও কয়েকজন জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। ওই এলাকার বনাঞ্চল থেকে এখনও লাগাতার গুলির আওয়াজ শোনা গেছে বলে জানা যাচ্ছে। যে সন্ত্রাসবাদীরা এখনও বেঁচে রয়েছে তারা পাল্টা আক্রমণের ছক কষছে বলে অনুমান সেনাবাহিনীর। গুলির লড়াইতে দুই সেনা আহত হন বলে জানা গেছে। যে বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল সেই বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনার দলকে লক্ষ্য করে এলোপাথারী গুলি চালায় জঙ্গিরা। বাকি জঙ্গিদের খুব তাড়াতাড়ি নাগালে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি মাসে শ্রীনগরে এনকাউন্টারে সেনাদের হাতে মৃত্যু হয় এক জঙ্গির। একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক খুনে জড়িত ছিল সেই অভিযুক্ত। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় অজানা রোগের প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। যা কার্যত আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে জম্মু- কাশ্মীর এলাকায়। কিছুদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। অবস্থা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে রাজৌরি জেলায় পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি বায়োসেফটি লেভেল-৩ মোবাইল ল্যাবরেটরিও পাঠানো হয়েছে ওই এলাকায়। রাজৌরি জেলা প্রশাসন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে কেন্দ্রীয় দলটি।