সঞ্জনা লাহিড়ী,সাংবাদিক- পঞ্জাবের পবিত্র স্বর্ণমন্দিরে চলল গুলি। শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বুধবার অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের গেটে সেবার কাজ করছিলেন তিনি। গেটে ঢোকার মুখেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান পঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। অকালি দলের সমর্থকরা হাতেনাতে ধরে ফেলে আততায়ীকে। তৎক্ষণাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে অমৃতসর পুলিশ। ধৃতের নাম নারায়ণ সিং চৌরা। তিনি গুরুদাসপুরের বাসিন্দা। হামলার কারণ স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও পুলিশের তরফ থেকে অভিযুক্তকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিগত কয়েকদিন ধরেই স্বর্ণমন্দিরের গেটে সেবার কাজ করছিলেন অকালি দলের নেতা। এদিনও একইভাবে দ্বাররক্ষীর কাজ করছিলেন সুখবীর সিং বাদল। সেই সময়ই তাকে গুলি করা হয়। নীল সেবাইতের পোশাক পরে সুখবীর সিং বাদলের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একজন। মাথা নিচু করে প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করছেন তিনি। এমনই একটি ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। অভিযুক্ত নারায়ণ সিং খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী বব্বর খালসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
২০০৪ সালে বুরাইল জেল ভেঙে ৪ বন্দি ৯৪ ফুট সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় সরাসরি যোগ ছিল নারায়ণের বলে দাবি পুলিশের। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পঞ্জাবে অকালি দল যখন ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় দলের নেতারা যে অপরাধমূলক কাজ করেছিল, তারই শাস্তি হিসাবে “তানখা”-র নির্দেশ দেয় অকাল তখত। সেই অপরাধের মধ্যে অন্যতম ছিল ডেরা সাচ্চার প্রধান ধর্মগুরু গুরমীত রাম রহিম সিংকে মুক্তি দেওয়া। সুখবীর সিং অকাল তখতের কাছে এই অপরাধ স্বীকার করেন এবং নিজেই নিজেকে সাজা হিসাবে বিভিন্ন গুরুদ্বারে সেবার কাজে নিয়োজিত করেন। বেশ কয়েকদিন ধরে স্বর্ণমন্দিরসহ পঞ্জাবের বিভিন্ন গুরুদ্বারে তিনি বাসন মাজা, জুতো পরিস্কারের কাজ করছিলেন। বুধবারও তিনি পায়ে প্লাস্টার নিয়ে স্বর্ণমন্দিরের গেটে দ্বাররক্ষীর কাজে যুক্ত ছিলেন। ঠিক সেই সময় আততায়ী বন্দুক বের করে বাদলকে তাক করেন। অল্পের জন্য গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায় গুলি।পুরো বিষয়টি অমৃতসর পুলিশের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।