দলনেত্রীই আদর্শ। তাঁর লড়াই শিক্ষনীয়। সুপ্রিমোর কাজই সুপ্রিম। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই এবার নতুন কর্মসূচি নিতে চলছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। একমাস ধরে রাজ্যজুড়ে চলবে এমন এক কর্মসূচি যার না দেওয়া হয়েছে ‘দীক্ষা’। নামেই প্রমাণ দীর্ঘ এক মাসের এই কর্মসূচিতে ঠিক কি হতে চলেছে।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন এখনও বেশ কিছুটা দেরি আছে। কিন্তু এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রস্তুতির অন্যতম লক্ষ মহিলা ভোটার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে রাজ্যে একের পর এক ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় রথ ছুটিয়ে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর হলেন রাজ্যের মহিলা ভোটাররা। ফলে সেই মহিলা ভোটারদের কথা মাথায় রেখে বছরের শুরু থেকেই দলের মহিলা সংগঠনকে রাস্তায় নামিয়ে রাখতে চাইছে তৃণমূল। তাই নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচির অন্যতম আকর্ষণ হলো ‘দীক্ষা’, যা মূলতঃ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনী ও দলের ইতিহাস সম্পর্কিত।
মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আগামি কর্মসূচির বিষয়ে নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘দীক্ষা’ নামক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের সব ব্লক ও শহরে কর্মি সমর্থকদের মধ্যে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগ, তিতিক্ষা, লড়াই, আদর্শ, এই বিষয়গুলি তুলে ধরে দীক্ষিত করে তোলা হবে। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস দলের তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপট, দলের কর্মকাণ্ড, সেগুলোও প্রচার করা হবে। করা হবে প্রায় ৫০০ কর্মিসভা।
এরপর ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরের একমাস ধরে নেওয়া হয়েছে আরেক নতুন কর্মসূচি, যার পোশাকি নাম ‘আলাপচারিতা’। আদতে জেলা সম্মেলনের আকারে হওয়া এই কর্মসূচির মাধ্যেমে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করাই হল আসল লক্ষ। এছাড়া আগামি ৪ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে দুপুর ২ টো থেকে বিকাল ৪ টে পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই মিছিলের উদ্যেশ্য মূলতঃ ‘অপরাজিতা বিল’ এ কেন্দ্রের ছাড়পত্র আদায়। রাজ্য বিধানসভা এই বিল পাস হয়ে গেলেও এখনো আইনে পরিনত করা সম্ভব হয় দিল্লি বিলটি না ছাড়ায়। ফলে ‘চাই সত্ত্বর, অপরাজিতায় স্বাক্ষর’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাস্তায় নামবে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। সব মিলিয়ে বলা যায় বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তাতেই থাকতে চলেছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। যা ২৬ এর ভোটের আগে দলের মহিলা কর্মিদের চাঙ্গা রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে।