ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অবিলম্বে ট্রামলাইন বুঁজিয়ে ফেলা বন্ধ করতে হবে।সে বিষয়ে ছবি সহ রিপোর্ট জমা করতে হবে আদালতে রাজ্যকে।
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। তা তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ।কিন্তু রাজ্যকে ট্রাম বাঁচাতে উদ্যোগ নিতে হবে। বহু দেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে। রাজনৈতিক সচিইচ্ছে প্রয়োজন রাজ্যের ট্রাম বাঁচাতে। “
প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, “কলকাতা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে যে দুজায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে। “আদালতের পর্যবেক্ষণ, “উপর তলার হাত না থাকলে এই ভাবে ট্রাম লাইন বুঁজিয়ে ফেলা যায়না। “ট্রাম সংরক্ষণে কমিটির রিপোর্ট জমা পড়লো হাইকোর্টে।রিপোর্টে রাজ্য উল্লেখ করেছে, তারা নিয়মিত বৈঠক করছে। একইসাথে ট্রাম লাইন বুঁজিয়ে ফেলার নির্দেশ রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের তরফে দেওয়া হয়নি।
নিম্ন আদালত গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য ঠিকঠাক টাকা দিচ্ছে না বলে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালত গুলিতে কর্মচারীর অভাব নিয়েও রাজ্যের ভুমিকায় কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের এগারোটা জেলার থেকে আবেদন এসেছে প্রধান বিচারপতির কাছে সেখানকার বারের জন্য ঘর নেই।বিচারকদের বসার জায়গা নেই। প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্যের সঙ্গে এ বিষয়ে যুদ্ধে করতে ও তিনি প্রস্তুত। তিনি আর কয়েক মাস প্রধান বিচারপতির পদে থাকবেন তার মধ্যে রাজ্য যদি পদক্ষেপ না করে তিনি রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে ও প্রস্তুত বলে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।