ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কতদিনের মধ্যে বাসবায়িত হবে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সেচ দপ্তরের সচিবকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের। আবেদনকারীর আইনজীবীর দাবি ১৯৫৯ থেকে ঘাটালের এই বন্যার সমস্যা।কেন্দ্র ও রাজ্যের পঞ্চাশ শতাংশ করে আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কথা।কিন্তু অভিযোগ কেন্দ্র অর্থ দিলেও রাজ্য বিগত ৪০ বছর ধরে কিছু করছে না।
এরপরেই প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন।রাজ্য এবং ক্যাগ আলাদা আলাদা রিপোর্ট এদিন আদালতে জমা করেছে। তাতে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “কবে শেষ হবে?
কিভাবে বন্ধ করা যাবে বন্যা?”
রাজ্যের রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “এতো কটা লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে, কজনকে খাবার দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্ট। কিন্তু পাকাপাকি ভাবে কি ভাবে বন্যা আটকানো যায় সেই কাজ কতটা কি হয়েছে?অবৈধ দখলদার সরানো, এবং নদীবাঁধ তৈরির কাজ কি হল? ” মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শঙ্কর দলপতি জানান, এটা রাজ্য ও কেন্দ্রের সমান সমান টাকার প্রকল্প।
২০১৯ সালের সিএজি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটির প্রজেক্ট! প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “কিন্তু কাজ কবে হবে? এতো কাজ হতে হতে পরের বছরের বন্যা শুরু হয়ে যাবে!”
উল্লেখ্য, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মুলত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া ও হুগলির বন্যা পরিস্থিতি আটকাতে এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। নদীবাঁধে ভাঙন আটকাতে নতুন নদীবাঁধ তৈরি। পাকা ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করার কথা ছিল।কিন্তু বন্যা হলে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয় খালি সেটাই জানানো হয়েছে।
।