মাম্পি রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন না নরেন্দ্র মোদী ?
আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি, ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।ওয়াশিংটন ডিসিতে দুপুর ১২টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছন
১. বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
২. চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
৩. আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মিলেই
৪. ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি
৫. এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে
৬. হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান
৭. ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। অনুপস্থিত অতিথিদের তালিকায় রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নাম। এদিকে শপথগ্রহণের আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বাড়ানোর অ্যাজেন্ডা শুরু করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, কানাডা হতে চলেছে আমেরিকার ৫১তম স্টেট। এমনকি নিজের ট্রুথ হ্যান্ডেলেও একটি ম্যাপ শেয়ার করেছেন তিনি। ম্যাপে তিনি দেখিয়েছেন, কানাডা আমেরিকারই একটি স্টেট। প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কানাডা দখল করতে অর্থনৈতিক বাহিনী পাঠাবেন বলেও দাবি বলেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে। পানামা খাল এবং গ্রিনল্যান্ড দখলের জন্যও সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে যে বিশাল বাণিজ্যের ঘাটতি রয়েছে এবং কানাডাকে টিকিয়ে রাখতে যে ভর্তুকির প্রয়োজন তা আর মাথায় নেবে না যুক্তরাষ্ট্র। একথা বুঝতে পেরেই পদত্যাগ করেছেন জাস্টিন ট্রুডো।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর হামাসদেরকেও চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে মার্কিনি বন্দিদের ছেড়ে না-দেওয়া হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোর জনসভায় ট্রাম্প বলেছেন, আমি আগের কোনও সমঝোতায় ব্যাঘাত ঘটাতে চাই না ৷ তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে যদি বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে ধ্বংসলীলা চলবে মধ্যপ্রাচ্যে। বন্দিদের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার বাসিন্দাদের বন্দি করা উচিৎ হয়নি ৷ আর তা করলেও অনেক আগেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল ৷ কিন্তু তারা সেটা করেনি ৷ সুতরাং, আগামী 20 জানুয়ারির মধ্যে তাদেরকে মুক্তি দিতেই হবে ৷ তা না-হলে হামাসের জন্য বিষয়টি সুখকর হবে না ৷
হামাসের হাতে বন্দি মার্কিন নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে একাধিকবার শান্তিপ্রস্তাবের মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়েছিল বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। কিন্তু নানান আলোচনার পরও তা ফলপ্রসূ হয়নি। অবশেষে জো বাইডেনের পর ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা হাতে নেওয়ার আগে থেকে হুমকি হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। বাইডেনের মতো শান্তিপ্রস্তাব নয়, আগ্রাসনের উপর ভর করেই প্রাপ্য ছিনিয়ে আনবেন বলেই আশাবাদী ট্রাম্প। তাহলে কি শীঘ্রই বন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস ? সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।