মাম্পি রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু এবং সাধুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। অথচ এর প্রতিবাদ হচ্ছে না। শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস যেদিন থেকে ক্ষমতায় এসেছেন বাংলাদেশে অশান্তির আবহ চলে আসছে। ডিসেম্বরে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদে এমনই বলেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এবার তাঁর অভিনীত ছবি ইমার্জেন্সির মুক্তি আটকে দেওয়া হল বাংলাদেশে। ৭ জানুয়ারি কঙ্গনা রানাওয়াতের ইমার্জেন্সির মুক্তি। কঙ্গনা রানাউত পরিচালিত ও অভিনীত ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি মুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন অনেকে। সমস্ত বাধা পেরিয়ে আগামী ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। কিন্তু কঙ্গনার ছবি নিয়ে আপত্তি জানাল প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে ইমার্জেন্সির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর আমলে ১৯৭৫ সালে ভারতে যে একুশ মাস জরুরি অবস্থা জারি ছিল, সেই সময়কালকেই মূলত তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। কেন ছবির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল বাংলাদেশে? সূত্রের খবর, বাংলাদেশে ইমার্জেন্সির উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞার পিছনে ছবির বিষয়বস্তুর যোগাযোগ নেই। দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নাকি মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বতী সরকারের এমন সিদ্ধান্ত।
কঙ্গনার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন চেনা মুখ দেখা যাবে ছবিতে। জয়প্রকাশ নারায়ণের ভূমিকায় অনুপম খের, যুব অটল বিহারি বাজপেয়ীর চরিত্রে শ্রেয়স তলপড়ে, ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর চরিত্রে মিলিন্দ সোমানকে দেখা যাবে। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহিমা চৌধুরী এবং সতীশ কৌশিকও।
প্রথম থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। মুক্তিযুদ্ধে সামরিক, অসামরিক সবরকম সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর সরকার। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করার পর কলকাতায় এসেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে ইন্দিরা-মুজিব একসঙ্গে সমাবেশও করেছিলেন। ব্যাপক জনসমাগম হয়েছিল ওই সভায়। ভারত-বাংলাদেশের সেই বন্ধুত্ব, সেই সম্প্রীতি বর্তমানে অতীত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে ভারতের উপকার সবটা ভুলতে বসেছে বাংলাদেশ। বারবার হুঁশিয়ারির সুর শোনা যায় ওপার বাংলা থেকে। এবার তারই আঁচ এসে পড়ল সিনেমার মুক্তিতেও।