সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বেঙ্গালুরুর অতুল প্রকাশের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার গুজরাটে। স্ত্রীয়ের অত্যাচারে আত্মঘাতী হলেন সুরেশ সাথাদিয়া নামের বছর ৩৮-এর এক যুবক। এবারেও সেই সুইসাইড ভিডিও পাওয়া যায় তাঁর মোবাইলে। গুজরাটের বটাদ জেলার জামরালা গ্রামে থাকতেন ওই যুবক। “স্ত্রীয়ের জন্য আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছি এবং পরিবারের কাছে অনুরোধ থাকল যে, ওর বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে-ই দায়ী আমার মৃত্যুর জন্য। ও আমার হতে পারেনি, তার সন্তানদেরও হতে পারেনি। ও আমায় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ও আমায় বাধ্য করেছে আত্মহত্যা করতে”-এমনই বলে একটি ভিডিও করেন সুরেশ। যা তাঁর মোবাইল থেকে পায় তাঁর পরিবার। ভিডিওটি হাতে পাওয়ার পরেই সুরেশ সাথাদিয়ার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুরেশের স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয় তাঁর স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবন সুরেশ ও তাঁর স্ত্রী জয়ার। ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তাঁদের। সুরেশের স্ত্রী তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নিত্যদিন ঝগড়া লেগেই থাকতো। প্রায়শই নিজের বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যেতেন তাঁর স্ত্রী বলে অভিযোগ সাথাদিয়ার পরিবারের। ঘটনার আগে সুরেশের স্ত্রী ঝগড়া করে বাবা-মায়ের কাছে চলে যান। তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি শ্বশুরবাড়িও গেছিলেন। এরপরই বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হন তিনি বলে জানা গেছে। ঘটনার নেপথ্যের কারণ তদন্ত করছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী জয়া সাথাদিয়াকে। ভিডিওটি পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিকে। কয়েকদিন আগে প্রায় একই ঘটনা ঘটে বেঙ্গালুরুতে। এআই ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা দেশ। সেই ঘটনায়ও তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ আনে অতুল। একটি ২৪ পাতার সুইসাইড নোট লিখে এবং ৮১ মিনিটের একটি ভিডিও করে যাবতীয় সমস্যার ব্যাখ্যা দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন অতুল।