আরও জটিল হল স্যালাইন কান্ড। রবিবার আরও অবস্থার অবনতি হল মেদিনীপুরের ৩প্রসূতির। লাইফ সাপোর্ট দিয়ে গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে তাদের আনা হচ্ছে কলকাতায়।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: সময় গড়াচ্ছে চিন্তা বাড়ছে কারণ আরও অবনতি হল ৩প্রসূতির। তাই তাদের আনা হচ্ছে কলকাতায়। রবিবার সন্ধের মধ্যেই তাদের এসএসকেএমে নিয়ে আসা হবে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের তরফে গঠিত ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরুপ নিগম, মেদিনীপুরের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী, সিএমওএইচ সহ অন্যান্যরা। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, প্রসূতিদের অসুস্থতার জন্য রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনের প্রয়োগের দিকেই ইঙ্গিত স্বাস্থ্য ভবনের। এমনটাই প্রাথমিক রিপোর্ট প্রতিনিধি দলের। তারা জানিয়েছেন এই স্যালাইন শরীরে প্রবেশের পর এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেছে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ। ভেঙে যাচ্ছে রক্ত কণিকা।কমছে অক্সিজেনের পরিমাণও। আক্রান্ত হয়েছে কিডনিও। দেখা দিয়েছে সংক্রমণ। ৩ প্রসূতির ডায়ালিসিস চলছে। প্রসূতিদের থেকে নমুনা নিয়ে বায়োপসি করা হয়েছে।প্রসবের পরে দেওয়া অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশন ও রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইনের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না। এটা কি কোন হিউম্যান এরর, নাকি কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন? দ্বিতীয় সম্ভাবনাই বেশি। এর পাশাপাশি মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইন গুলি দীর্ঘদিন বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে থাকায় কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়েছিল কি না, ছত্রাক জন্মেছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।