ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: বহু আগেই সাঁতরাগাছি ঝিলের উত্তর দিকের জমি দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন ওই বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করতে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সেই নির্দেশ এখন কার্যকর করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। আর এর মাঝেই পুনর্বাসনের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ১১ জন বেআইনি দখলদার। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানে দখলদারদের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, ট্রাইব্যুনাল নির্দেশে পুনর্বাসনের কথা উল্লেখ করলেও তা না করেই রেল তাদের উচ্ছেদ করছে। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের ওই সংক্রান্ত নির্দেশের কপি দেখতে চান বিচারপতি সিনহা। কিন্তু এরকম কোনও নির্দেশের কপি দেখাতে ব্যর্থ হন দখলদারদের আইনজীবী। এরপরই বিচারপতি সিনহা জানিয়ে দেন, ওখানে কোনও দখলদার রাখা চলবে না। ঝিল সংলগ্ন ওই জমি রেলকে দখলদার মুক্ত করতেই হবে। এরপরই বিচারপতি নির্দেশে জানান, পূনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে মামলাকারীকে ট্রাইব্যুনালেরই দ্বারস্থ হতে হবে। এব্যপারে হাইকোর্ট কোনও নির্দেশ দেবে না।
উল্লেখ্য দূষণ ও দখলদারির কারণে সাঁতরাগাছি ঝিল থেকে মুখ ফিরিয়েছে পরিযায়ী পাখিরা। চলতি মরশুমে পাখি দেখতে গিয়ে হতাশ হতে হয়েছে পক্ষীপ্রেমীদের। অথচ গত এক দশকে বহু পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছিল ঝিলে।