গীতিকার ও সুরকার সলিল চৌধুরীকে সম্মান জানাতে চারুবাসনা আর্ট গ্যালারির উপেন্দ্রকিশোর সভাঘরে এক সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে কথা ও গানের মাধ্যমে সলিল চৌধুরীকে স্মরণ করা হয়।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: যার শিল্পকর্ম ভারতীয় সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারা জুড়ে বিস্তৃত তিনি হলেন গীতিকার ও সুরকার সলিল চৌধুরী। যিনি তাঁর গুণগ্রাহীদের কাছে সলিল দা নামেই পরিচিত। সলিল চৌধুরী এমন একজন ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী যিনি একই সাথে পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার।ত ব বাঁশি, পিয়ানো, এসরাজের মত বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারদর্শী ছিলেম। তার মৌলিক কবিতাগুলোর জন্যে তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। তিনি মূলত বাংলা, হিন্দি, এবং মালয়ালম চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা হিসেবে গণসঙ্গীত দিয়েই তাঁর শিল্পীজীবনের শুরু। জনতার মিছিলের গান থেকে, রোম্যান্টিক স্বপ্নমেদুর আবেগসমৃদ্ধ সুখ-দুঃখের, প্রেম-বিরহের আর্তিও তিনি অনায়াস তাঁর গানের কাঠামোয় নিখুঁত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলতেন। এই প্রবাদ প্রতীম শিল্পীর শততম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে কথা ও গানের মাধ্যমে স্মরণ করা হল চারুবাসনা আর্ট গ্যালারির উপেন্দ্রকিশোর সভাঘরে । আনন্দী কম্যুনিকেশন সেন্টার ও রূপসা সাহিত্য পত্রিকার তরফ থেকে “সুরের সলিলে কয়েক ঘন্টা” আয়োজন করা হয়।
যেখানে সলিল চৌধুরীর সৃষ্টির ভান্ডার থেকে তাঁরই গান নিয়ে সাজানো হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের ডালি। নিউরো সার্জেন চিকিৎসক অমিতাভ চন্দ সেই গানগুলো গেয়ে সলিল চৌধুরীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। সলিল চৌধুরীর বাবা ও জ্যাঠাতো দাদা নিখিল চৌধুরীর কাছেই সলিল চৌধুরীর সংগীত শিক্ষার হাতেখড়ি।সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলির প্রতি সলিল চৌধুরী এতটাই মনোযোগী ছিলেন যে তার রচনার মধ্যে মেল পাওয়া যায়। শতবর্ষে পৌঁছেও নতুন প্রজন্মের কাছে সলিল চির নতুন। তিনি সশরীরে ইহলোকে না থাকলেও। তাঁর গানের মাধ্যমে তিনি আপামর বাঙালির কাছে অমর।