স্বাড়ম্বরে পালিত হল স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩ তম জন্ম দিবস। সেজে উঠেছিল স্বামীজির জন্মস্থান উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রীট ও স্বামীজির বাড়ী। এদিন বেলুড় মঠেও একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: স্বাড়ম্বরে পালিত হল স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩ তম জন্ম দিবস ও ৪১ তম জাতীয় যুব দিবস। প্রতিবছরের মত এবারও সেজে উঠেছিল স্বামীজির জন্মস্থান উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রীট ও স্বামীজির বাড়ী। এদিন স্বামীজির বাড়িতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই ভক্ত সমাগম লক্ষ্য করা যায়। বিবেকানন্দের জন্মদিনটি জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালিত হয় সারা দেশে। সেই উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিনে সিমলা স্ট্রীটে মুখোমুখি তৃণমূল ও বিজেপি। একই সময়ে সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দর বাড়িতে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। শাসক-বিরোধী দু’ দলেরই একই সময়ে কর্মসূচি। এদিন স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিনে বিজেপি যুব মোর্চার ম্যারাথনে সামিল হন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি তৃণমূলের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় হাজির সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে সিমলা স্ট্রীটে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল সিমলা স্ট্রীট চত্বর। সিমলা স্ট্রীটের পাশাপাশি এদিন সকাল থেকেই বেলুড়মঠে ছিল ভক্তদের সমাগম। এদিন ভোর পাঁচটায় স্বামী বিবেকানন্দের মন্দিরে মঙ্গলারতীর মধ্যে দিয়ে পূজাপাঠ শুরু হয়। পাশাপাশি প্রভাতফেরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুব দিবসে বেলুড় মঠে সামিল হন। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্কুল, ক্লাব ও বেলুড় মঠের শাখা সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। স্বামীজীর প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে বেলুড় মঠে আসেন তাঁরা। এই বিশেষ দিনে মূল মন্দিরের বাঁদিকে অস্থায়ী মন্ডপে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে স্বামীজি বিষয়ক নানা অনুষ্ঠান, বেদপাঠ,ভজন, ভক্তিগীতি, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী পাঠ হয়। সিমলা স্ট্রীট ও বেলুড় মঠ ছাড়াও কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন উপলক্ষে এদিন কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয় । এদিন সকালে মিশনের স্কুল ময়দান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।কামারপুকুর মিশন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে শোভাযাত্রায় হাঁটে। মঠ হয়ে শোভাযাত্রাটি কামারপুকুর চটিতে বিবেকানন্দ মূর্তি প্রদক্ষিণ করে। সেখানেই বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়।পাশাপাশি বালিগঞ্জ ফাঁড়ি পার্কে উদ্বোধন করা হয় বেলুড় মঠের রেপ্লিকা। এই পার্কটিকে মানুষের কাছে আরো ভাবাবেগের করে তুলতে বেলুড় মঠের আদলে একটি রেপ্লিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনা কালে কাজে কিছুটা বাধা এলেও স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বেলুড় মঠের আদলে রেপ্লিকা তৈরীর ক্ষেত্রে অটল ছিলেন পুরসভার আধিকারিকের। স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মদিনে সেই রেপ্লিকার উদ্বোধন করা হলো। উদ্বোধন করলেন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়।