সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- বহুদিন ধরেই ৪ মোস্ট ওয়ান্টেডকে খুঁজছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সোমবার মধ্য রাতে পুলিশ ৪ জনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অভিযানে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় কুখ্যাত কাগা গ্যাংয়ের ৪ সদস্যের। এনকাউন্টারে নিহত হয় ৪ জন। ঘটনায় গুরুতর আহত হন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ১ ইন্সপেক্টর। নিহতদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই কাগা গ্যাংয়ের মাথা আরশাদকে খুঁজছিল পুলিশ। খুন, ডাকাতি, তোলাবাজিসহ প্রায় ১২টার বেশি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকাভুক্ত ওই অভিযুক্তকে নাগালে পেতে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
সোমবার গভীর রাতে শামলি জেলার ঝিনঝানা এলাকায় দুষ্কৃতীদের আসার খবর ছিল উত্তরপ্রদেশ এসটিএফের মিরাট শাখার পুলিশ আধিকারিকদের কাছে। সেই মতোই ওত পেতে ছিল পুলিশ। ৪ দুষ্কৃতী একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই পুলিশ তাদের গাড়ি আটকায়। সেই মুহূর্তে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। গুলির লড়াই চলে প্রায় ৪০ মিনিট মতো। এরপরই পুলিশের গুলিতে একে একে নিহত হয় আরশাদসহ ৪ জন। তবে দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন এসটিএফের ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার। তাঁর গায়ে গুলি লাগে। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে করনালের অমৃতধারা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গুরুগ্রামের বেদান্ত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। দুষ্কৃতীদের থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি, দেশি কারবাইন বন্দুকসহ প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা গেছে।
বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে উত্তরপ্রদেশ গুন্ডাদমন করতে এনকাউন্টারের রাস্তায় হেঁটেছে। এই নিয়ে যোগী সরকার সমালোচনার সম্মুখীন হলেও সিদ্ধান্ত বদল করেনি। বরং তা অনেকাংশে বেড়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ২১৭ জন দুষ্কৃতী পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।