নিরন্তর ভারত বিদ্বেষী অবস্থান নিয়ে চলেছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। তা সে দেশের অভ্যন্তরে ভারত বিরোধী মন্তব্য করা হোক বা আন্তর্জাতিক সীমান্তে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাঁধাবার চেষ্টা করাই হোক। সেই ভারত বিরোধী জিগির এতটাই চেগে উঠেছে যে বাংলাদেশে মাল খালাস করতে গিয়ে এক ট্রাক চালককে রীতিমতো হুমকির মুখে পড়তে হলো।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন আর অস্থিরতা শুরু হয় একই সময়ে। সেই ইস্তক অস্থিরতার রেশ পড়ে দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তেও। তবে সেই অস্থিরতার ছিটেফোঁটাও দেখা গেলো না মালদহের মোহদিপুর বিওপি (বর্ডার আউট পোষ্ট)-তে। এরমধ্যেই ওদেশে মাল (নির্মাণ সামগ্রী সহ অন্যান্য জিনিসপত্র) নিয়ে যাওয়া ট্রাক চালকদের কেউ কেউ হুমকির মুখে পড়ছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তার মধ্যেই চলছে নিত্যদিনের পারাপার।
মালদহের মোহদিপুর স্থল সীমান্ত ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিওপি বা বর্ডার আউট পোষ্ট। একটা সময় এই স্থল সীমান্ত ছিলো একেবারে জমজমাট। প্রতিদিন কয়েক হাজার ট্রাক চলাচল করতো এখান দিয়ে। এখন ভারত বাংলাদেশ আন্তঃ বানিজ্যের সেই রমরমা আর নেই। তাসত্ত্বেও প্রতিদিন প্রায় পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি ট্রাক এদেশ থেকে ওদেশে যায়, আবার প্রায় সমপরিমান ট্রাক ওদেশ থেকে জিনিষপত্র নিয়ে এপারে আসে। এপার থেকে ওপারে যে ট্রাক যায় তাতে মূলতঃ নিয়ে যাওয়া হয় ছোটো বড় স্টোন চিপস্, শুঁটকি মাছ ইত্যাদি। তেমনই শুঁটকি মাছ ওপারে খালাস করে ফিরে আসা এক ট্রাক চালক বেশ জোড়ে হাসতে হাসতে বলছিলেন, “ওরা বলে কি যে ভারত দখল করে নেবো।” কারা এসব বলে ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওই যারা মাল খালাস করে তারাই।” বলেই আবার হাসতে শুরু করলেন তিনি। আরেক ট্রাক চালক নিয়ে গিয়েছিলেন পাথর। সেই পাথর ওপারে নামিয়ে ফেরার সময় আমাদের জানালেন, “শুধু ভুলভাল কথা বলে ওরা। ওরা জানে যে যেটা পারবে না, ওরা নাকি সেটাই করবে। ভারত দখল করার স্বপ্ন দেখছে ওরা।” এই ওরা কারা ? ওরা মানে কি বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ? দুই ট্রাক চালকই অবশ্য জানালেন, বিজিবি নয়, এইসব হুমকির কথা শোনায় ওপারের সাধারণ মানুষ বা খালাসিরা। এই হুমকির মুখে ওপারে যেতে ভয় করে না ? উত্তরে ট্রাক ড্রাইভারের নির্লিপ্ত উত্তর ধুর, ওদের শুধু মুখেই ফটর ফটর, কিস্যু করার ক্ষমতা নেই।