প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি খেয়ে দলীয় জনপ্রতিনিধির খুনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর তথা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দুলাল সরকারের মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- সাত সকালেই চার দুষ্কৃতী তাড়া করে গুলি করে খুন করলো শাসক দলের কাউন্সিলরকে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই সরাসরি নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। মালদহের জেলাশাসককে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনার ওখানে তো আমার আজকে একজন পুর সহকর্মী খুন হয়ে গেল। এসপির (পুলিশ সুপার) অপদার্থতার জন্য। তার সিকিউরিটিও আগে তুলে নেওয়া হয়েছিলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। আগেও অনেকবার তাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। সে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলো। এটা খুব দূর্ভাগ্য আমাদের।” এই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী অনুপ্রবেশ নিয়েও নিজের ক্ষোভের কথা জানান। তিনি বলেন “ওখানে সীমান্ত আর কালিয়াচক নিয়ে যদি ব্যস্ত থাকেন তাহলে কিন্তু জেলার ডেভলপমেন্ট হবে না। প্লিজ এগুলো ভুলে যাবেন না। ওখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।” সরাসরি জেলাশাসককে তিরষ্কার করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিএসএফের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকানো হচ্ছে। বিএসএফ ঢোকাচ্ছে, আর আপনারা কেউ প্রতিবাদ করছেন না। কোথায় কোথায় দিয়ে বিএসএফ লোক ঢোকাচ্ছে সেই তথ্যও দেন মুখ্যমন্ত্রী। “বিএসএফ ইসলামপুর দিয়ে, সিতাই দিয়ে, চোপড়া দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। আরও অনেক জায়গা দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে। বিএসএফ মেয়েদের ওপর অত্যাচার করছে।”
সরাসরি জেলাশাসকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, আপনাদের দিক থেকে কেন কোনো প্রতিবাদ হয় নি ? অনুপ্রবেশকারী নিয়ে ডিজি রাজীব কুমার কে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন কোন কোন জায়গা দিয়ে লোক ঢুকিয়েছে, লোক ঢোকাচ্ছে সেটা দেখতে। তিনি মনে করিয়ে দেন বর্ডার রাজ্য প্রশাসনের হাতে নেই, বিএসএফের হাতে।