সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- একদিকে ২০২৬- এর বিধানসভা নির্বাচন অন্যদিকে মালদার কাউন্সিলর খুন, দলের মধ্যে ফাটল ধরছে বলে মনে করছে শাসক দল। তাই এবার পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হল নেতৃত্বদের উপর নজরদারি বাড়াতে। শাসক দলের নেতৃত্বদের নিজেদের মধ্যে কারও কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে কিনা তা আগাম খতিয়ে দেখার নির্দেশ লালবাজারের। প্রতিটি ডিভিশনের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে। শাসক দলের কোনও নেতৃত্বের সঙ্গে অপর কোনও নেতৃত্বের কোনওরকম কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে কিনা, থাকলেও কি পরিস্থিতিতে রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ লালবাজারের। মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে প্রতি ডিভিশনের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসারদের।
শুধু কলকাতা পুলিশে নয়, রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবন থেকেও সমস্ত জেলার স্পেশাল ব্রাঞ্চকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাভিত্তিক স্তরে কোনও নেতার সঙ্গে দলের কারও দ্বন্দ্ব রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে। মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুনে উঠে এসেছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। সেই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে শাসক দল। নেতৃত্বদের উপর নজরদারির মাধ্যমে কোনও দুর্ঘটনা বা কোনও বড় ঘটনা রোখা সম্ভব। পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরে ফাটল যাতে না হয় তা রুখতেই এই তৎপরতা বলে সূত্রের খবর। ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলকে সংঘবদ্ধ রাখতে শাসক দলের নির্দেশ পুলিশকে। এর ফলে দলের একতা বাড়ানো সম্ভব বলেই আশাবাদী শাসক দল।