মাম্পি রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ একাধিক অনাচার হয়েই আসছে ইউনুসের বাংলাদেশে। এসব ঘটনা ঘটলেও কার্যত চোখে ঠুলি পরে বসে রয়েছে মহম্মদ ইউনুস। উন্নয়নের কাজ প্রায় থমকে গিয়েছে। এই আবহে কাজ না হওয়ার দায়ও ভারতের উপরেই চাপিয়েছে ইউনুস সরকার।
বাংলাদেশে রেলের একাধিক প্রকল্প থমকে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দাবি, ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি। এখনও ঋণ দেওয়া হয়নি বাংলাদেশকে। সেই কারণেই ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৬বছর আগে বাংলাদেশের রেলের একাধিক প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু এখনও সেই টাকা দেওয়া হয়নি। টাকা চেয়ে একাধিক বার নয়াদিল্লিকে চিঠি দেওয়া হলেও দাবি করেছে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রক।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে দাবি, এই মুহূর্তে রেলের মোট সাতটি প্রকল্প রয়েছে, যে কাজ ভারতের ঋণের টাকায় হওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে খুলনা-দর্শনা যুগ্ম লাইন রেল প্রকল্প এবং সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মিশ্র গেজ় লাইন প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে। ভারত এই দুটি প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রকের তরফে। কিন্তু ঋণ না-দেওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। ভারতের ঋণের টাকায় দু’টি প্রকল্পের কাজ চলছে। ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনের কাজ এগিয়েছে ৩৮ শতাংশ। কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়েছে ৫১ শতাংশ।
২০২৪ সালের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিরতা বৃদ্ধি পায় বাংলাদেশে। এই রেল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেক শ্রমিকে বাংলাদেশে যাননি। ফলে এই দুই প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছে মাঝপথে।এছাড়া ভারতের ঋণের টাকায় বাংলাদেশে খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং আখাউড়া-আগরতলা লাইনের কাজ হয়েছে। কিন্তু এখনও এই দুই প্রকল্পের পুরোপুরি সমাপ্তি ঘোষণা হয়নি। খুলনা-মোংলা লাইনে একটি ট্রেন চলে। আখাউড়া-আগরতলা লাইনে এখনও ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। আরও একটি প্রকল্পের জন্য টাকা দিয়েছে ভারত। দিনাজপুর-কাউনিয়া লাইনের কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ রেল সূত্রে খবর, ঢাকা-টঙ্গী এবং কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্পের জন্য ভারত আদৌ টাকা দেবে কি না, তা জানতে চেয়ে গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারত তার কোনও উত্তর দেয়নি। হাসিনার দেশত্যাগের পর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের কাছ থেকে টাকা না পেলে বিকল্প উপায়ে টাকা জোগার করার চেষ্টা করছে ইউনুস সরকার।