ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : আর জি কর দুর্নীতি মামলায় মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সন্দীপ ঘোষ সহ চার অভিযুক্তের আবেদন নাকচ করে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ
সন্দীপদের আবেদন খারিজ করল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সিবিআইয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অশোক চক্রবর্তী এই মামলায় তাঁরা সময় চাইছে। ৩ জন ডিসচার্জ পিটিশন করেছে। তাঁর শুনানি হয়েছে। সময় ব্যায়ের জন্য এখানে মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সুমন হাজরার পক্ষের আইনজীবি হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই সমস্যা শুরু হয়েছে।৬০ দিন আমরা আইনি বিচারের মধ্যে রয়েছি। আমরা হেফাজতেই ছিলাম। আপনি আমাদের না শুনেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছি।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন,উনি তো বলেননি আইন ভঙ্গ করতে। এটা রিভিউ না রিকলিং আবেদন?
অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল জানান,সূচিপত্র ছাড়া ২৫ হাজার পাতার নথি দেওয়া হয়েছে। চার্জশিত দেওয়ার পরেও আমাদের পেশ করা হয়েছে।
বিচারপতি: নভেম্বরে চার্জশিত পেশ করা হয় তাহলে তো এটা সিস্টেমেটিক ডিলে। ৩১ জানুয়ারি তদন্তকারী আধিকারিক বলেন ৭০ শতাংশ নথি এনেছে। তার মানে তাঁরাও তৈরি নয়। ৬০ দিনের মধ্যে ডিসচার্জ পিটিশন করতে পারে। রিকলিং বলা হচ্ছে কারণ আমাদের বক্তব্য শোনাই হয়নি।
আমি যেদিন অর্ডার দিয়েছিলাম সেদিন আপনাদের আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন?
তাঁদের একটা নথি পেশ করতে বলুন যে আমরা দেরি করেছি। চার্জশিত পেশ ও অনুমোদনের মধ্যে আমাদের ভূমিকা কোথায়? সকলেই হেফাজতে রয়েছে। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সন্দীপ ঘোষের আইনজীবি বলেন ,আমরা যখন হেফাজতেই রয়েছি তাতে সমস্যা কি? আমরা কনসিকোয়েন্সটা বলছি। ফেয়ার ট্রায়াল সবার অধিকার ।
বিচারপতি সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে, প্রধান বিচারপতি আবেদন গ্রহণ করেন ২৮. ১. ২০২৫ এ যে নির্দেশ দেওয়া হয় তা পুনর্বিবেচনা শোনার জন্য। এএসজি সাবমিট করেন এই আবেদন খারিজ করতে বলেন এর গ্রহণযোগ্যতা নেই।
এই আদালতে ৩ জন আবেদন করেছে। ১ অভিযুক্ত এর মধ্যে ডিসচার্জ আবেদন করেননি। অভিযুক্তরা কেউ ডিসচার্জ আবেদন করেছেন। আদালতের নির্দেশের পর ট্রায়াল কোর্ট চার্জগঠন হবে বলে জানায়।
আবেদনকারীরা জানান ১৫ হাজার নথি পড়া হয়নি। সিবিআই দুদিন ধরে নথি দিয়েছে। তাঁরা এখনও তৈরি নয়।