বাজারে গেলে আপাতত আর চালের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। গোবিন্দভোগ থেকে শুরু করে আতপ, বাসমতী থেকে শুরু করে রত্না দাম বেড়েছে সবারই। বেশ কিছু চাল নাকি সেঞ্চুরিরও পথে তাই স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: চালের দাম গত ১৫ দিনে অস্বাভাবিক বেড়েছে। তার ফলে চিন্তা হচ্ছে আমবাঙালির। মিনিকেট থেকে বাঁশকাঠি, সব চালের দামই কেজিতে ১০-২৫ টাকা বেড়েছে। একটু কম আয়ের মানুষদের অন্যতম ভরসা যে রত্না চাল— তারও দাম কেজিতে ৭ টাকা বেড়েছে। প্রতি বছরই এই সময়ে চালের দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু সাম্প্রতিককালের মধ্যে চালের দামে এত লম্বা লাফ দেখা যায়নি।
দোকানদারদের মতে, দক্ষিণবঙ্গে সঠিকভাবে চাল উৎপাদন না হওয়ার কারণে বর্ষায় ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় আর তার ফলেই এক লাফে কেজি প্রতি ১০ টাকা দাম বাড়ানোর পর, মিনিকেট, রত্না, বাঁশকাঠি, গোবিন্দ ভোগ-সব ধরনের চালই এখন অগ্নিমূল্য বাজারে এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি দেখে ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে অস্বস্তি।
যদিও চাল ব্যবসায়ীরা অনেকেই মনে করছেন, যার যেখানে লাভ বেশি হবে সে তো সেখানেই যাবে। বেশি দামে বাইরে যাচ্ছে, তাই লোকে সেখানেই ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। আবার অনেকের এর জন্য দায়ী করছেন সমস্ত মোকামদের। মোকাম অর্থাৎ যারা পাইকারি ব্যাবসায়ী তারা ইচ্ছাকৃতভাবে চালের দাম বাড়াচ্ছে।
আবার চালের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে চাষিদের আবার অভিযোগ, তারা ধান বিক্রির সময় বেশি দাম পাননি। ধান উৎপাদনও যথেষ্ট হয়েছে। এই সময় চালের দাম এভাবে বৃদ্ধি হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিছু মানুষ অবৈধভাবে মার্কেটে ঘাটতি সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে বলে মত তাদের। যেহেতু চাষিদের হাতে এখন ধান নেই তাই ইচ্ছামতো দাম বাড়ানো হচ্ছে।
আসুন সব শেষে এক বার দেখে নেওয়া যাক এই মুহুর্তে চালের দাম কেমন যাচ্ছে (তবে এই দামও স্থান বিশেষে আলাদা)
মিনিকেট ৫০ টাকা প্রতি কেজি থেকে হয়েছে ৬০-৬২ টাকা প্রতি কেজি
রত্না ৪৩টাকা প্রতি কেজি থেকে এই মুহুর্তে ৫০টাকা
গোবিন্দভোগ চালের দাম ৮৫টাকা কেজি থেকে বেড়ে ১০০টাকা প্রতি কেজি
বাঁশকাঠি চাল আগে ছিল ৭২টাকা কেজি যা এখন বেড়ে ৮০টাকা কেজি