একদিকে বইমেলা আর একদিকে নাট্যমেলা দুই মিলে এই মুহুর্তে কলকাতায় মেলার আমেজ। বুধবার রবীন্দ্র সদনে আয়োজিত হল এই নাট্যমেলার। চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী অবধি।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: চতুর্বিংশ নাট্যমেলার উদ্বোধন হল রবীন্দ্র সদনে। উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু দেবশংকর হালদার অর্পিতা ঘোষ হর ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। মেলা চলবে ৫-১০ ফেব্রুয়ারী। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অর্পিতা ঘোষ জানান এবারে ৫জেলায় নাটক হবে। প্রায় ১২০ টি নাটক উপস্থাপিত হবে। প্রদর্শনী হয়েছে বাদল সরকারকে নিয়ে তার শতবর্ষে। আজ এখানে উদ্বোধনী নাটক। এবারে নাটুকে আড্ডা বলে আড্ডা জোন। আগামীকাল থেকে নাটকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আড্ডা হবে। বিকেল করে লোকনাট্য সাড়ে তিনটে সাড়্র চারটে, ৬ট অবধি আড্ডা
শিশির মঞ্চে দুপুর ৩টে থেকে নাটক শুরু হবে। এদিন মঞ্চ থেকে একটি বইও প্রকাশিত হয়। ব্রাত্য বসু সম্পাদিত সাধারণ বঙ্গরঙ্গালয়ের সার্ধ শতবর্ষ বইটির উন্মোচন হয় এদিন।
হর ভট্টাচার্য বলেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই নাট্যমেলাকে কলকাতার গন্ডী ছাড়িয়ে জেলাতেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে নাটকের গন্ডী সীমাবদ্ধ না থাকে। থিয়েটার আজ অক্সিজেনের অভাবে ধুকছে তাকে রক্ষা করতেই এই সরকারি উদ্যোগ। যা অত্যন্ত সাধুবাদের যোগ্য। কিন্তু আসল অক্সিজেন দিতে পারেন দর্শকরাই। আমার খুব ভালো লাগছে আজ। থিয়েটারের জন্য বাংলার ভাইবোন এক হোক।
এরপর নাট্য একাডেমির সভাপতি দেবশংকার হালদার তার ভাষণে বলেন, দর্শকরা সবাই আমাদের নাটকের বন্ধু। আমি নিজে রোজ অভিনয় করলেও আজকের সন্ধে ফাঁকা আছে। আমি মহিষাদলের একটি মঞ্চে অভিনয় করে এলাম দেখলাম দুপুর থেকে মানুষ অপেক্ষা করছেন। দারুণ সাড়া পেয়েছি। হয়তো তারা রোজ নাটক দেখার সুযোগও পান না। স্থানাভাবে অনেকেই জায়গা না পেয়ে ফিরে গেছেন। এই বিষয়টা ইতিবাচক ভাবেই নিতে হবে কারণ মানুষ নাটকে ফিরছেন। যারা দেখতে পারলেন না তারা এই ভেবে ফিরলেন সামনের বার আরও আগে আসতে হবে। ছোট থেকে তো এটাই বুঝেছি নাটক শিল্প একবার কাউকে জড়িয়ে ধরলে তার আর নিস্তার নেই। এই মেলাকে যতটা সম্ভব নিজেদের করে তুলুন।
মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন থিয়েটারকে কেন্দ্র করে যাদের সমবেত হওয়ার কথা ছিল সবাই আছেন। পরিকল্পনা ছিল ৭৫ জনকে দিয়ে বইটি লেখাব। ৫১ জন লিখেছেন। সার্থক দাস আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছেন। এরপর আমাদের প্রদর্শনীও আছে। গগনেন্দ্র প্রদর্শনীশালায় হচ্ছে। এতে সাহায্য করেছেন শোভন তরফদার। নাট্যমেলা করতে মোট ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। মিনার্ভাতে বাজেট ছিল ৮০ লক্ষ। দুই খাতে প্রায় দেড় কোটির বাজেটের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। দেশে আর কোথাও কোন সরকার এত টাকা দেয় বলে জানা নেই।