ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পর্ষদ। নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি! প্রায় ৫০০জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। অথচ অযোগ্যদের মেধা তালিকায় স্থান দিয়ে কীভাবে নিয়োগের প্রস্তাব? প্রশ্ন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়।২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু সেই লিখিত পরীক্ষা পরবর্তী সময় বাতিল হয়ে যায়। পরে আবার লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ। এরপর ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে উওর ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। প্রায় ৫০০ জন মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর অধিক থাকা সত্ত্বেও, তাঁরা মেধা তালিকায় স্থান পাননি বলে অভিযোগ। যে কারণে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। যেখানে হাইকোর্ট নির্দেশের নির্ধারিত দিনের মামলার ফাইল করেনি বলে তারা নিয়োগ পেতে পারেনি এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে কম নম্বর পেয়েও প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে চাকরি পেতে চলেছে অথচ অনেকে বেশি নম্বর পেয়েও প্যানেলে স্থান পায়নি। বিষয়টি আদালত গুরুত্ব সহকারে দেখবে এবং এখানে কোন দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
মামলাকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী, এদিন জানিয়েছেন এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছে। যেখানে পর্ষদ সঠিকভাবে তথ্য মূল্যায়ন করে দেয় নি হাইকোর্টে। পাশাপাশি তার আরো অভিযোগ অর্শদের দেওয়া রিপোর্ট ে একাধিক অস্বচ্ছতা রয়েছে। তাই আদালত জানতে পারিনি যে উচ্চ মেধা সম্পন্ন প্রার্থীরা চাকরিটা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ পর্ষদের কম মেধা অযোগ্য প্রার্থী তালিকা হাইকোর্টে জমা দেওয়া য় তারা নিয়োগ পেতে চলেছে। এখানে পর্ষদ সম্পূর্ণ তথ্য গোপন করে অযোগ্যদের চাকরি সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেনা আইনজীবী।
পর্ষদের জমা দেওয়া মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন আদালতের। এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখে স্বচ্ছ অসচ্ছ রিপোর্ট জমা দেবেন মামলাকারীর আইনজীবী।