মাম্পি রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হোলি খেলায় শাস্তির মুখে পড়তে হল হিন্দু পড়ুয়াদের। দায়ের করা হল এফআইআর। তাতে বলা হয়েছে পড়ুয়ারা নাকি রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত। পড়ুয়াদের ইতিমধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করাচির একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হোলির উৎসব আয়োজন ও প্রশাসনের নোটিসের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতেই বিতর্ক মাথাচারা দিয়েছে। পাকিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশের আশোপাশে এসে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা। এই আবহে দাউদ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে হোলি খেলা নিয়ে আরও বিতর্ক উস্কে দিল। তবে কি সংখ্যালঘুদের অনুষ্ঠানকে অপরাধ হিসেবে দেগে দেওয়া হচ্ছে ? তাহলে কি হোলি উদযাপন করাটা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে ? হোলি খেললেই রাষ্ট্রবিরোধী তকমা লাগবে ? প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন পাকিস্তানের আইনসভার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রাক্তন সদস্য লাল মালহি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের অধিকার কতটা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফাই, ভিডিওটি পুরনো। পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআরের সত্যতাও অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।