ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক: মথুরাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা কমল হালদারের দাবি, ২০২১ সালে একটি আজনা পোন নম্বর থেকে তাঁর জমিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে তিনি রাজি ছিলেন না। কিন্তু একাধিকবার তাঁকে ফোন করে লাস্যময়ী কণ্ঠে এক এক বার এক এক মহিলা তাঁকে ওই প্রস্তাব দিতে থাকেন। তাঁকে বলা হয় তাঁর জমিতে রিলায়েন্স জিও-র (ফাইভ জি) টাওয়ার বসানো তিনি প্রতি মাসে মোটা টাকা আয় করতে পরেবেন। সেইসঙ্গে তাঁর পরিবারের দু’জনকে চাকরিও দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। কমল বাবুর দাবি এরপর কখনও সিকিউরিটি হিসাবে আবার কখনও নো-অবেজকশন পাওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। এই ঘটনায় ২০২৩ সালে তিনি মথুরাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরও পুলিস তদন্ত করে প্রতারকদের কোনও হদিশ করতে পারেনি। পাশাপাশি এক পয়সাও উদ্ধার করা যায়নি। এরপর বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে পুলিসের এই ধরনের তদন্তের পরিকাঠামোর অভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, এই সব এলাকার থানাগুলিকে সব সময় আইনশৃঙ্খলা সামলাতেই হাবুডুবু খেতে হয়। এই ধরনের প্রতারনার ঘটনায় তদন্তের জন্য যে পরিকাঠামো প্রয়োজন তা নেই। দু’বছর কেটে গেলেও পুলিস কিছু করতে পারেনি। এরপরই ঘটনায় সিআইডির সাইবার ক্রাইম শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ।