ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক কারন অকারণে মাঝে মধ্যেই শ্বাশুড়ি বৌমার খুঁটিনাটি লেগেই থাকে। কিন্তু রান্নাঘর দখলের লড়াই, বেনজীর বললো আদালত।রান্নাঘর কার? শাশুড়ি না বৌমার? তা নিয়ে দ্বন্দ্ব এবার পৌঁছল আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা। রান্নাঘরের সমস্যার সমাধান করবে কলকাতা পুলিশ। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, কলকাতা পুলিশকে রান্নাঘর কার সেই বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মামলাটির নিস্পত্তিও করে দেন তিনি।
আবেদনকারী প্রবীণ অঞ্জু রায়ের দাবি, তাঁর রান্নাঘর থেকে সমস্ত সামগ্রী জোর পূর্বক বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁর রান্নাঘরের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে তিনি ছোট্ট শোবার ঘরেই রান্না করে দিনযাপন করছেন। চিৎপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় রান্নাঘরের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন অঞ্জু দেবী।
২০২৩ সালের ২ অগস্ট স্বামীকে হারান অঞ্জু রায়। তিন কন্যা সন্তান ও এক পুত্রের জননী তিনি। কন্যা সন্তানরা প্রত্যেকেই বিবাহিত। পুত্র বিশ্বজিৎ রায় সংলগ্ন একটি বাড়িতে পৃথকভাবে বাস করে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে। অভিযোগ, পুত্র ও পুত্রবধূ প্রায়শই নগদ অর্থ ও গহনার অংশ লাভের জন্য তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করত। সেখানেই তাঁরা শুধু থেমে থাকেননি। একমাত্র রান্নাঘরটিও দখল করে নিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে তিনি শোবার ঘরেই বসবাস করেন। সেখানেই রান্না করে জীবনযাপন করেন। পুলিশকে অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। সিনিয়র সিটিজেন আইন অনুযায়ী, তিনি এই রান্নাঘরের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, রান্নাঘর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে। এই সমস্যার সমাধান তো পুলিশই করতে পারবে।
আদালতের নির্দেশ, চিৎপুর থানার পুলিশকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রান্নাঘরের অধিকার অঞ্জু রায়ের নাকি বিশ্বজিৎ রায়ের স্ত্রীর হবে? আইনজ্ঞ মহলের মতে, বর্তমান সমাজে সাংসারিক দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে রান্নাঘর নিয়েও উচ্চ আদালতকে বিচারের জন্য সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।