মাম্পি রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে অশান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই নানান ধরনের ছবি উঠে আসছে, কখনও সংখ্যালঘুদের উপর শারীরিক অত্যাচার হচ্ছে, কখনও জোর করে তাঁদের ধর্মান্তকরণ করানো হচ্ছে। এমনই আরেকটি ভিডিও উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক নাবালককে জোর করে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে। মাইকে তাকে স্বীকার করে নিতে বলা হচ্ছে যে সে মুসলিম হয়ে গেল। আরেকদিকে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন নাবালকের বাবা। ভিডিওটি ভাইরাল রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত অত্যাচারের আবহে সন্ত্রাসবাদ এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিয়ে ঢাকাকে কঠোর বার্তা দিল নয়াদিল্লি। জানানো হল, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর উদ্বেগ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন।
একটি প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেন, সম্প্রতি মাস্কাটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা এবং কথা হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের। সেখানে সার্ক-কে চাঙ্গা করে তুলতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জয়শঙ্করকে অনুরোধ করা হয়। জায়সওয়ালের বক্তব্য, “বাংলাদেশের তরফ থেকে সার্কের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছিল জয়শঙ্করের কাছে। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেকেই জানে কোন দেশ এবং তাদের কোন কার্যকলাপ সার্ককে স্থগিত করে রেখেছে। বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন সন্ত্রাসবাদকে জলভাত করে না দেখে।”
এদিকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে বিজিপি-র ডিজি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে সন্ত্রাসের বিষয়টি যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, তা সবটাই বানানো। তাদের দাবি দুর্গাপুজোর সময়েও যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রণধীর জায়সওয়াল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন সফরেও বিষয়টি নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকার কাছে। আমরা সবাই জানি গত কয়েক মাস ধরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কী ভাবে বিঘ্নিত হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের উপদেষ্টাদের মুখে প্রায়শই ভারতবিরোধী মন্তব্য উঠে আসে, তা নিয়ে জয়সওয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও আমারা নজরে রেখেছি।
ভারতের কড়া বার্তায় কি এবার শুধরোবে ইউনুসের বাংলাদেশ, সেটাই এখন দেখার।