রাজীব কুমারের পর দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হলেন জ্ঞানেশ কুমার। সোমবার সন্ধ্যায় সরকারের তরফে এই ঘোষণা করা হয়। জ্ঞানেশ কুমার ২০২৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে থাকবেন। অর্থাৎ আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হল জ্ঞানেশ কুমারকে। রাজীব কুমারের পর তিনিই হচ্ছেন দেশের বর্তমান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। ২০২৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে থাকবেন তিনি। জ্ঞানেশ কুমারের এই পদে থাকাকালীন পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে বাংলার বিধানসভা ভোটের দায়িত্ব থাকবে প্রাক্তন এই আমলার হাতেই। জানা গিয়েছে, তিনি এই পদে থাকাকালীন ২০টি বিধানসভা নির্বাচন, ২০২৭ সালের রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। জ্ঞানেশ কুমারকে এই পদে নির্বাচিত করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। সূত্রের খবর সেই বৈঠকে রাহুল গান্ধী ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও জ্ঞানেশ কুমারকে নির্বাচিত করায়। যে করণে জ্ঞানেশ কুমারের নিয়োগের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। আগামী শনিবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার হাতে রাখতে চায় নির্বাচন কমিশনকে। সে কারণেই আগেভাগে নিয়োগ করা হয়েছে জ্ঞানেশ কুমারকে। অন্যদিকে, সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনে শূন্যপদ এড়াতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে চায়নি কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় নিয়োগ করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে।
জানা গিয়েছে, কেরালা ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের আইএএস জ্ঞানেশ কুমার এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিল খসড়া তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের আগে, রাষ্ট্রপতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে কমিশনার নিয়োগ করতেন তিনিই। এক্ষেত্রে দুজনকে এই পদের জন্য বাছা হত, তার মধ্যে যিনি সিনিয়র, তাকেই এই পদে নিযুক্ত করা হত। কিন্তু সেই নিয়ম এখন বদলেছে। ২০২৩ সালে সংসদে একটি আইন পাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার তিন সদস্যের কমিটি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করবেন। নয়া নীতি মেনে নিয়োগ করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। তবে এ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।