নয়া পরীক্ষা পদ্ধতিতে ক্যালকুলেটর ব্যবহারে নিষেধ থাকলেও, সেই অবস্থান থেকে সরে আসল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফ থেকে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেমেস্টারে ক্যালকুলেটর ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হল।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: উচ্চমাধ্যমিকে বদলেছে সিলেবাস। বদলেছে পরীক্ষার ধরন। চালু হয়েছে সেমেস্টার পদ্ধতি। নয়া পদ্ধতিতে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না বলে আগেই শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল। তবে এবার নিজেদের অবস্থানের বদল ঘটালো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবার সেমেস্টার পদ্ধতিতেও ক্যালকুলেটর ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল সংসদ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা সেমেস্টারে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। সেমেস্টার সিস্টেমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে মোট চারটে সেমেস্টার দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। তবে নয়া সেমেস্টার পদ্ধতিতে প্রথমে ক্যালকুলেটর ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। যার ফলে চিন্তায় পড়ে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকমহলের একাংশের তরফ থেকে সংসদের কাছে ক্যালকুলেটর ব্যবহারের আবেদন করা হয়। এবার শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের বক্তব্য, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ক্যালকুলেটর ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হল। তবে পড়ুয়ারা শুধু মাত্র সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে, কোনও বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে না। এই ক্যালকুলেটর ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র প্রাকটিক্যালের ক্ষেত্রে। থিয়োরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। সংসদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক মহলের একাংশ। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারন সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, “প্র্যাকটিক্যালের জন্য ক্যালকুলেটর ব্যবহারে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু থিওরির ক্ষেত্রে ক্যালকুলেটর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সর্বভারতীয় জয়েন এন্ট্রান্সেও ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ। সেই দিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের প্র্যাকটিশ এবং ভবিষ্যতের জন্য থিওরিতে ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করছি। তবে প্রশ্নকর্তাকে এদিকে সতর্ক থেকে প্রশ্ন করতে হবে এদিকটাও জরুরী।”