কেন্দ্রিয় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। কমিশনের অফিসকে কাজে লাগিয়ে বাংলার ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের নাম ঢোকানো হচ্ছে। নেতাজি ইনডোরের বৈঠকে এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন এখনও প্রায় বছরখানেক বাকি। এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিলো তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রস্তুতির প্রথম কাজ হলো ভোটার লিস্টে নজরদারি। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রিয় নির্বাচন কমিশনের উদ্দ্যেশে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন। সভায় উপস্থিত তৃণমূল কর্মিদের সামনে কিছু কাগজ দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখানে এমন অনেক নাম রয়েছে যাদের বাড়ি হয় হরিয়ানা, নয় গুজরাট নয়তো পাঞ্জাবে। তাদের নাম এরাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ভোটার লিস্টে ঢোকানো হচ্ছে।” এরাজ্যের ভোটার লিস্টে ভিন্ রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢোকানোর কাজ করছে বিজেপি। তৃনমূল নেত্রীর পরিষ্কার অভিযোগ দিল্লি বা মহারাষ্ট্রে এইভাবে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে ওই দুই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। আর এই কাজে কেন্দ্রিয় নির্বাচন কমিশনের অফিসকে কাজে লাগানো হয়েছে। নির্বাচন অফিস থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি মানুষের জন্য ২৬ দিন অনশন করেছি। আর যদি প্রয়োজন হয় তাহলে গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা দিনের পর দিন ইলেকশন কমিশনের অফিসের সামনে ধরনা দিতে পারি।”
ভোটার লিস্টে কারচুপি আটকাতে দলীয় কর্মিদের এখন থেকেই কাজে নেমে পড়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সুব্রত বক্সি কে মাথায় রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস সহ একঝাঁক নেতাদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরির কথা ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য স্তরে এই কমিটি তৈরি করে দেওয়া হলো। সাতদিনের মধ্যে জেলা স্তরেও কোর কমিটি তৈরি করে দেওয়া হবে। “এখন থেকেই নজর রাখতে হবে কোথায় নতুন কার নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সশরীরে উপস্থিত না হয়ে কেউ অনলাইনে আবেদন করেই ভোটার তালিকায় নাম ঢোকাচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। প্রতি তিন দিন অন্তর ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে কতটা কি করলেন সেই রিপোর্ট তৃণমূল ভবনে সুব্রত বক্সির কাছে পাঠাতে হবে।” দিল্লি বা মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে ইঙ্গিত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে ওসব করতে পারবে না। বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে তাই বাইরের লোক কে ঢোকাচ্ছে। বাংলায় আমরা এসব ধরবো এবং যোগ্য জবাব দেবো।”