শেয়ার বাজারের উত্থান পতন নতুন কিছু নয়। কিন্তু গত কয়েক মাসে সেইভাবে লাভের মুখ দেখেননি বিনিয়োগকারীরা। শুক্রবারও রীতিমতো ভরাডুবি শেয়ার বাজারে।এদিন এক ধাক্কায় সেনসেক্স পড়ল ১৪০০ পয়েন্ট।
সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: শুক্রবা বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে ১৪১৪ পয়েন্ট পড়ে এই মুহুর্তে সেনসেক্স এসে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজারের ঘরে। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে যা ঘোরাঘুরি করেছিল ৭৫ বা ৭৬ হাজারের ঘরে। এদিন ৪২০ পয়েন্ট পড়ে নিফটি ৫০ এসে দাঁড়িয়েছে ২২হাজারের ঘরে। ৩৯৯ পয়েন্ট পড়ে ব্যাংক নিফটি এখন ৪৮ হাজারের ঘরে।
মূলত ট্যারিফ চাপানো নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণার পর হুড়মুড়িয়ে পতল ভারতীয় শেয়ার বাজারের।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন যে মার্চ মাসের ৪ তারিখ থেকে চিন, কানাডা, মেক্সিকোর পণ্যে বাড়তি কর লাগু করা হবে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য করছাড়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট কমানোর মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কেন্দ্র নিলেও ট্রাম্পের এই ঘোষণা যেন শেয়ার বাজারের উত্থানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগ ভারতীয় বাজার থেকে বেড়িয়ে যাওয়াও শেয়ার বাজারের এরকম রক্তাক্ত হওয়ার জন্য দায়ী। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বাজার থেকে ক্রমশ বেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ। তার প্রভাবেই হু হু করে পড়ছে শেয়ার সূচক। NSDL-এর তথ্য বলছে, ২০২৫ সালেই ১ কোটি ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ ভারতের শেয়ার মার্কেট ছেড়ে বেরিয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই ৪৭ হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে গিয়েছে।
এদিন পতঞ্জলি ফুডস, গ্রানিউলস ইন্ডিয়া, আদিত্য বিড়লা রিয়েল এস্টেট, দীপক ফার্টিলাইজারস ও রেডিংটনের মতো স্টকগুলি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে, KEI ইন্ডাস্ট্রিজ, স্টার হেলথ অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্স্যুরেন্স, পলিক্যাব ইন্ডিয়া, আইইএক্স, আরআর কেবল এবং কোল ইন্ডিয়ার মতো স্টকগুলিতে ভালো কেনাকাটা দেখা গেছে।
এর পাশাপাশি এদিন টিসিএস, ভারতী এয়ারটেল, বাজাজ ফিনান্স, মারুতি সুজুকি, আল্ট্রাটেক সিমেন্টের শেয়ারে ভয়াবহ ধস। মার্চ মাসে কি হবে শেয়ার বাজারের হাল, সেদিকেই তাকিয়ে বিনিয়োগকারীরা।