দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে এবছরের রাজ্য বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম একটা স্বপ্নের প্রকল্প এই মাস্টার প্ল্যান। সেই প্ল্যান বানচাল করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে কিছু চক্র। সেচ মন্ত্রীর দাবি যে যতই চক্রান্ত করুক, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করা হবেই।
সঞ্জু সুর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- ঘাটাল বাসীর দীর্ঘদিনের জল যন্ত্রণা কাটাতে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ একটা দীর্ঘমেয়াদি দাবি। কেন্দ্রের কাছে হাজারবার আবেদন নিবেদন করেও কেন্দ্র এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নি বলে বারবার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর নিজেই এই মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় আরামবাগের এক সভায় দেব (দীপক অধিকারি) কে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দিদির কাছে ভাই দাবি জানিয়েছে। আমি এই সভা থেকেই ভাই (দেব) কে বলছি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরাই করবো। তখন থেকেই জল্পনা চলছিলো কবে থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
এমতাবস্থায় ২০২৫/২৬ অর্থ বর্ষের বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ১৫০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে এর আগে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু এবার বাজেট বরাদ্দ হওয়ার পর পরই ওই এলাকায় জমি হারানোর ভয়ে এই প্রকল্পে জমি না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বানচাল করার চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে বলছি মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্প হবেই।” জমির প্রসঙ্গে সেচ মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন কারও কাছ থেকে জোর করে জমি নেওয়া হবে না। প্রকল্পের জন্য যেখানে জমি লাগবে সেখানে বাজার দরের থেকে আড়াই গুণ বেশি দাম দিয়ে জমি দাতার অনুমতি নিয়েই কাজ করা হবে।” তবে দাসপুর সহ কিছু এলাকায় জমি দাতাদের আপত্তির বিষয়টি দেখার জন্য স্থানীয় বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশীষ হুদাইত, সুকুমার পাত্র ও সুনীল ভৌমিক কে বলেছেন সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।