পরীক্ষা শুরুর আগেই ধুন্ধুমার।পরীক্ষার্থীদের মেটাল ডিটেক্টরে চেকিং করার সময় রণক্ষেত্র রূপ নেয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র। ঘটনাটি ঘটে বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাইস্কুলে।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল ও প্রশ্নফাঁস রুখতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানোর ব্যবস্থা করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালালেন একদল পরীক্ষার্থী। বুধবার ছিল উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিং করার সময় রণক্ষেত্রের রূপ নেয় পরীক্ষাকেন্দ্র। ঘটনাটি ঘটে মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাইস্কুলে। এই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন কান্দিটোলা হাই মাদ্রাসা, চর সুজাপুর হাই স্কুল এবং পারলালপুর হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের হামলার জেরে জখম ৬জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে আসে বৈষ্ণবনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর সেই স্কুলে পরিদর্শনে যান পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি জানান, যা ঘটেছে তা একেবারেই অনভিপ্রেত। ভবিষ্যতে যাতে এ রকম ঘটনা না ঘটে, তা নজরে রাখা হবে। একই সঙ্গে তিনি রিপোর্টও চেয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। স্কুল সূত্রে খবর, সংসদের নির্দেশ মতো এদিন ‘মেটাল ডিটেক্টর’ দিয়ে তল্লাশি করছিলেন কয়েক জন শিক্ষক। সেই সময়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক জন আপত্তি জানায়। কর্তব্যরত শিক্ষকদের তারা বলে, তল্লাশি চালানো যাবে না। অন্যদিকে পড়ুয়াদের দাবি, শিক্ষকেরা বলছিলেন, ব্যাগের চেন খোলো, তারপর জামা-প্যান্ট সার্চ করা শুরু করে। ব্যাগ অবধি ঠিক ছিল, কিন্তু জামা-প্যান্ট কেন? সেই কারণেই তাঁরা আপত্তি দেখান তারা। তবপ শিক্ষকদের বক্তব্য , মেটাল ডিক্টেটার হাতে দেখেই সমস্যা শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। বাধা দেয় তল্লাশিতে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে সংসদ। সংসদ সভাপতির বক্তব্য, “আমাদের ২ হাজার ৮৯টা ভেন্যু রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিক রিপোর্টের ওপর ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এই রকমের ঘটনা না ঘটে, সে দিকে নজর রেখে আমরা পদক্ষেপ করব।”