ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : মুর্শিদাবাদে সিরাজ-উদ-দৌলার সম্পত্তি ভাগিরথীর গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো রক্ষা করার কোনও উদ্যোগ রাজ্য সরকারের নেই। এই মামলাতেই বৃহস্পতিবার একটি তিন শতস্যের কমিটি গঠন করে দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
সরকারি আইনজীবী এর আগে দাবি করেছিলেন ওই সম্পত্তি প্রসঙ্গে বলেন, “ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৮ সালে বাংলার শেষ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সম্পত্তি নষ্ট করে ফেলেছিল। মাত্র ৯ বিঘা জমি ছিল। তাও ভাগিরথীর ভাঙনে চলে যাচ্ছে। আমাকে এই বিষয়ে আরও সময় দেওয়া হোক।”
প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগনাম এবং বিচারপতি চৈতালি চ্যাটার্জির (দাস) বেঞ্চ।
মুর্শিদাবাদে অবস্থিত বাংলার শেষ স্বাধীন শাসক সিরাজ-উদ-দৌলার প্রাসাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
কেন্দ্রের আইনজীবী দাবী করেন, যে সত্তরের দশকে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সিরাজ-উদ-দৌলার পুরো প্রাসাদ ধ্বংস করে দিয়েছিল।নবাবের ঐতিহ্যের রক্ষার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি পিআইএল দায়ের করা হয়েছিল।
সিরাজ-উদ-দৌলার প্রাসাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে শোনার পর, আদালত আর্কিওলজি বিভাগের একজন, হেরিটেজ বিভাগের একজন এবং মুর্শিদবাদের অন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন।
যারা আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন, স্থানটি পরিদর্শন করবেন এবং ছয় মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্টে জমা দেবে।।আবেদনকারী নবাব সিরাজদুল্লা স্মৃতি সুরক্ষা ট্রাস্ট কমিটিকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বিগত শুনানীতে রাজ্যের হেরিটেজ কমিশনকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, কমিশনের কোনও উদ্যোগ নেই। নিষ্ক্রিয় রয়েছে কমিশন। রাইটার্স বিল্ডিং নিয়েই বা কী করা হচ্ছে, তাও জানতে চায় হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি পর্যবেক্ষণ ছিল,হেরিটেজের জায়গায় বড় বড় হাইরাইজ বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। পুরনো ইতিহাস রক্ষার পরিবর্তে তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে… রাজ্যকে আদালতের বার্তা, ‘যে কোনও কিছু ভেঙে ফেলা খুব সহজ। ৪৮ ঘন্টায় করে ফেলতে পারবেন। কিন্তু ফেরাতে পারবেন না।’