ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : মামলাকারি পক্ষের আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায় বলেন বিরোধী দলনেতা থাকবেন সুলেখা মোর থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত হবে। রবিবার করতে চাই আমরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত করতে চাই। দুসপ্তাহ আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়: ৩ মার্চ ৭টার সময়। আমরা ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের থেকে তথ্য পেয়েছি। রাইভাল গ্ৰুপ থাকলে কে সামলাবে। অন্য জায়গায় করুক।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ: আপনারা বলচেন বিরোধী দোলনটা থাকবে আবার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পার্লামেন্ট এর সদস্য থাকবে কিনা আপনি জানাননি। কোনো ভিআইপিকে এলাউ করা হবেনা।
ময়ূখ মুখোপাধ্যায় : কালকে শাসকদল করেছে। তার আগে ডিওয়াইএফএই করেছে।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ : এখন করা করতে চাইছে
মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায় বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার শাসকদলও করেছে।
বিচারপতি: কেউ যদি অন্যায় করে আপনারাও তাই করবেন এটা মানা যায়না। আপনারা যাদবপুর এই কেন করছেন? আমি বলছিনা আপনারা করবেন না। রাজ্যের উদ্দেশে আপনাদের অফিসারদের বলুন কাউকে যাতে অনুমতি না দেয়।
আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন ,তাহলে বাঘাযতীন থেকে সুলেখা মোর পর্যন্ত বা ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত।
স্বপন: কেন তারা ওই জায়গাতেই যেতে চাইছে? গড়িয়া থেকে করুক
আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার : হ্যাঁ তাহলে এবার সুন্দরবনে করতে বলুন না
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ,নবিনা সিনেমা হল থেকে যাদবপুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে শেষ করতে হবে (ক্যালকাটা পাইড রেস্টুরেন্ট)। সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে করতে হবে। ৭৫০ জনের জমায়েত। যাদবপুর চত্ত্বর থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকতে হবে। যতদিন আমি মামলাটা নিচ্ছি অর্থাৎ ১৩ মার্চ পর্যন্ত কাউকে যাতে ওই এলাকায় অনুমতি না দেওয়া হয়। আদালতের অনুমতি ছাড়া ওখানে কেউ কর্মসূচি করতে পারবে না। ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত করা যাবে। সংশ্লিষ্ট থানা আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবেন। আয়োজকদেরও নজর রাখতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন ১৩ মার্চ পর্যন্ত কর্মসূচি করতে পারবেন না।
মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ।