ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুরকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। কেন সেদিন একজন কেবিনেট মিনিস্টারের কাছে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী সঙ্গে ছিলেন না? কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন বিচারপতি।
কেন গোয়েন্দা রিপোর্ট আগেভাগে পুলিশ পেল না। মন্ত্রী নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ।
এইরকম একাধিক বিষয় নিয়ে কথোপকথনের মধ্যেই বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
আক্ষেপের সুর প্রবীণা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যায় তিনি আর বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মামলায় অংশগ্রহণ করবেন না
কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষ কে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন অনেক ক্ষেত্রে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। কোন রাজনৈতিক সভা বা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক যেখানে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায় না।
উদাহরণস্বরূপ তিনিও জানান কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের যদি বৈঠক হয় সে ক্ষেত্রে তাকে যদি আমন্ত্রণ করা হয় সেখানে তিনি কখনোই নিরাপত্তা কর্মী নিয়ে যেতে পারেন না। তিনি আইনজীবী পেশার বাইরেও তিনি একজন জনপ্রতিনিধি এবং লোকসভার সাংসদ। তার নির্দিষ্ট নিরাপত্তা বলায় থাকলেও তিনি সব জায়গায় সেই নিরাপত্তা ব্যবহার করেন না।
বহু সময় রাজনৈতিক সভা বা সমাবেশে কর্মী সমর্থকদের ইচ্ছা থাকে তাদের প্রিয় নেতা বা মন্ত্রী কাছে পৌঁছে যাওয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মন্ত্রীর প্রসঙ্গে তিনি একই বিষয় বলতে চেয়েছেন। অর্থাৎ মন্ত্রী না চাইলেও তার যারা শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন তারা পৌঁছে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। এটাই স্বাভাবিক। যদিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।