মাম্পি রায়,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উত্তরাখণ্ডে ৩০ এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হচ্ছে চারধামযাত্রা। এ বার পুণ্যার্থীদের নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, চারধাম দর্শনে বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার কথাও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। মন্দির চত্বরে ভিডিয়ো রিল বানানো, আর ভ্লগার বা ইউটিউবারদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে গত বছরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি। এ বার এই ব্যাপারে আরও কড়া পদক্ষেপ করল প্রশাসন এবং মন্দির কমিটি।
মন্দির কমিটি সূত্রে খবর, মন্দির পরিসরের ৩০ মিটারের মধ্যে কোনও মোবাইল, ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া যাবে না। এখানেই শেষ নয়, কেদারনাথ-বদ্রীনাথ পান্ডা সমিতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, যাঁরা ভিডিয়ো রিল বানান, ভ্লগ করেন এমন ব্যক্তিদের মন্দির পরিসরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভিডিয়ো রিল বা ভ্লগ করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। কেদারনাথ মন্দিরের এক কর্তা জানিয়েছেন, গত বছর ভিডিয়ো রিল বানানো এবং ভ্লগারদের কারণে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এইবছর এই নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক বদিরীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি এবং রাজ্য প্রশাসন। একইভাবে, ভিআইপি দর্শনের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল চারধাম যাত্রার সূচনার দিন গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী ধামের দরজা খুলে দেওয়া হবে পুণ্যার্থীদের জন্য। দোসরা মে খুলবে কেদারনাথ ধামের দরজা। বদ্রীনাথ ধামের দরজা খোলা হবে চৌঠা মে।
চারধাম যাত্রার সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যাতে পুণ্যার্থীদের সমস্যায় না পড়তে না হয়, সেজন্য ১০টি স্থানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। হরিদ্বার, হৃষীকেশ, ব্যাসী, শ্রীনগর, রুদ্রপ্রয়াগ, সোনপ্রয়াগ, হরবটপুর, বিকাশনগর, বড়কোট এবং ভটওয়াড়ী। কোনও দুর্যোগ হলে এই জায়গাগুলিতেই রাখা হবে পুণ্যার্থীদের। রাতে থাকার ব্যবস্থা, শৌচালয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা পরিষেবা, সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই জায়গাগুলিতে।
ইতিমধ্যে এবারের চারধাম যাত্রার জন্য ৬দিনে অন্তত ৯ লক্ষ পুণ্যার্থী রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছেন। পৌনে তিন লক্ষ পুণ্যার্থী শুধুমাত্র কেদারনাথের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। বদ্রীনাথের জন্য ২লক্ষ ২৪ হাজার পুণ্যার্থী। যমুনোত্রীর জন্য ১ লক্ষ ৩৪হাজার, গঙ্গোত্রীর জন্য ১ লক্ষ ৩৮ হাজার এবং হেমকুণ্ডের জন্য ৮ হাজার পুণ্যার্থী রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ফেলেছেন। এখন চারধাম যাত্রা ভালোয় ভালোয় মিটুক এটাই এখন প্রার্থনা। সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে সেনাবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।