মাম্পি রায়, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজা উপত্যকায় ফের হামলা চালাল ইজরায়েল। মঙ্গলবার ভোরে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। তার জেরে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয় বলে দাবি করা হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চল, গাজা সিটি, দেইর আল বালাহ, খান ইউনিস, রাফা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে অচলাবস্থা চলছিল এই আবহেই হামলা চালানো হল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে ইজরায়েল। সেই কথামতো, এই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দি নাগরিকদের মুক্তি দেবে হামাস। কথা মতো একাধিক পণবন্দি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ১৯ জানুয়ারি গাজায় হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচেষ্টা চালালেও তা ব্যর্থ হয়। প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ৩৩ জন ইজরায়েলি এবং পাঁচজন থাই বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, নিহতদের বেশিরভাগই শিশু। হাজার হাজার সাধারণ মানুষের বসবাস করা এলাকায় হামলা হয়েছে। মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি হারিয়েছে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিত হওয়ার পর মঙ্গলবার ভোর থেকে ব্যাপক এয়ার স্ট্রাইক শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। একটি টেলিগ্রাম পোস্টে ইজরায়েল জানিয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় হামাসের জঙ্গি ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।’
এদিকে হামাস বলছে, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। আর সেটা করেই গাজায় আটক ৫৯ জনের ভাগ্য অনিশ্চিত করে তুলেছে তারা। হামাস এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, গাজা ভূখণ্ড থেকে আচমকাই ইজরায়েলে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। তারপর থেকে ২ বছর কেটে গেলেও এখনও অশান্তি গুলি, বিমান হানা, ড্রোন হানা চলছেই। ব্যপক দুর্দশায় কাটাচ্ছেন গাজা ও সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা। কবে থামবে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, কবে আবার স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন তাঁরা, সেই প্রশ্নই ঘুরছে তাঁদের মুখে মুখে।