সুস্মিতা হালদার, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে অরণ্যগুলিতে চোরাশিকারীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়েছিল বনদফতর। বনদফতরের সেই লাগাতার প্রচেষ্টার ফল এবার হাতেনাতে মিলল।
তবে কি সেই উদ্যোগ?
একশৃঙ্গ গণ্ডার সংরক্ষণে ফের সাফল্যে নয়া পালক উওরবঙ্গের মুকুটে। রাজ্যের দুই জাতীয় উদ্যান জলদাপাড়া ও গোরুমারা উদ্যানে বাড়ল একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা। দুই জাতীয় উদ্যানে তিন বছরে মোট ৪৫টি গণ্ডার বেড়েছে বলে খবর রাজ্য বন দফতর সূত্রে। গণ্ডার বৃদ্ধিতে খুশি বনমন্ত্রী থেকে শুরু করে বন দফতরের কর্মীরা। খুশি পশুপ্রেমীরাও।
ল্লেখ্য, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০২২-এ গণ্ডারের সংখ্যা ছিল প্রায় ২৯২। চলতি বছর যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩১-এ । অর্থাৎ বর্তমানে বেড়েছে মোট ৩৯টি গণ্ডার । অন্যদিকে, গরুমারার জঙ্গলে তিন বছর আগে গণ্ডারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫। চলতি বছরে মার্চের শুমারিতে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬১। বেড়েছে মোট ৬টি। গত ৫ এবং ৬ মার্চ ২ দিনের গণ্ডার শুমারিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন বনকর্মী সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী প্রেমী সংগঠনগুলি। দুটি উদ্যানে গণ্ডার শুমারির জন্য কাজে লাগানো হয়েছিল মোট ৮৫টি কুনকি হাতিকে।
বনদফতর সূত্রে খবর, জিপিএস(GPS )পদ্ধতিতে তাদের অবস্থান, বয়স, লিঙ্গ নির্ধারণ করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ৬৫টি ব্লকে বিভক্ত করে কুনকি হাতির সাহায্যে ড্রোনের সাহায্যে হয় এই গণনা। সবমিলিয়ে মোট ৬৩১ জন বনকর্মী ও ১৫টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন ওই শুমারিতে।
তবে কি জানেন, গণ্ডারের দুই জঙ্গলের এই দুটি দলেরই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে স্ত্রী গণ্ডাররা। পরিসংখ্যান বলছে আনুপাতিক হারে জলদাপাড়ায় একটি পুরুষ পিছু স্ত্রী গণ্ডারের সংখ্যা প্রায় ১.১৩ এবং গরুমারায় একটি পুরুষ পিছু স্ত্রীর সংখ্যা ১.৫৯। জঙ্গলে চোরাশিকারী বন্ধ করতে এই সাফল্য বলে মনে করছেন বন কর্তৃপক্ষ।