নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হলে সিনেমা দেখা কিংবা মোবাইল বা টিভির পর্দায় ওয়েব সিরিজ, তাতেই মজেছে ইয়ং জেনারেশন। কিন্তু থিয়েটার বা থিয়েটারের অভিনেতাদের মর্যাদা অন্য স্তরের তা অস্বীকারের উপায় নেই। পুরনো প্রজন্মের মানুষজনের মধ্যে থিয়েটারের জনপ্রিয়তা প্রবল। নতুন প্রজন্মের একাংশও তা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন। সেই জনপ্রিয়তার উপর ভর করেই দুটি থিয়েটারের ব্যবস্থা করল নাট্যদল ” বিমূর্ত”। দুটি থিয়েটারের নাম “তারকা” এবং “পোকামাকড়ের কুটুম”। ২২মার্চ শনিবার কালীঘাটের তপন থিয়েটারে এই দুটি নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল।
ঋত্বিক পুরকাইতের লেখা ও পরিচালিত থিয়েটার “তারকা”-তে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক পুরকাইত, অনিরুদ্ধ গুপ্তা ও রিমি গঙ্গোপাধ্যায়। চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় ভরা জীবন। আজ কাজ আছে, কাল কাজ নেই। তার মধ্যেও অভিনেতা, পরিচালক, কলাকুশলীরা বাঁচেন, তাঁরা স্বপ্ন দেখেন। অনিশ্চয়তা মনে নিয়ে সম্পর্কও তৈরি করেন আবার ভালোওবাসেন। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির পাওয়া, না-পাওয়া, ব্যর্থতা, হতাশা, স্বপ্নপূরণ, প্রেমহীনতা, একাকীত্বের গল্প “তারকা”।
অন্যদিকে স্নেহাশিস ঘোষ পরিচালিত পোকামাকড়ের কুটুমে অভিনয় করেছেন নিকিতা নাথ, সায়ন বিশ্বাস, কিশোর বিশ্বাস সহ অন্যান্য অভিনেতারা। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের এই নাটকে দুটি চরিত্র “কাতু” এবং “হাসি”। যাদের দৈনন্দিন কাজ হল শহরের ময়লার আস্তাকুঁড়ের জিনিসপত্র সংগ্রহ করা। দীর্ঘ সময় পর আস্তাকুঁড়ের কাছে একত্রিত হন তাঁরা। কাতু এর আগে সেখান থেকে একটি খেলনা ফোন এবং কিছু অন্যান্য জিনিস পেয়ে যত্ন করে গুছিয়ে রাখেন। কাতু ও হাসি নিজেদের জীবনের সুখ দুঃখের গল্প করে। হাসি কাতুকে বলেন যে, স্বামী মারধর করত বলে তাকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর থাকার জায়গা নেই। একজন ভালো বন্ধু হিসেবে কাতু হাসির সমস্ত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন। আবর্জনা থেকে পাওয়া খেলনা ফোনকে নিয়ে সময় কাটান দুজন। অন্যদিকে কাতুও বন্ধু হাসিকে তাঁর স্বপ্নের কথা বলেন। কাতু বলেন তিনি একটি মিছিল শুরু করতে চান। যেখানে সবাই তাঁদের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলতে পারেন। দাবি রেখে সেখান থেকেই স্বপ্নে দেখা জীবনটা বাঁচতে পারেন, তাঁদেরকে ওই জীবনটা পাইয়ে দেওয়াটাই এটাই স্বপ্ন কাতুর। এভাবেই এগোয় হাসি ও কাতুর বন্ধুত্বের গল্প।