ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : আলোচনায় বসে সমাধানের পথ বার করার পরামর্শ হাইকোর্টে।বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্যপালের দায়ের করা মামলায় পরামর্শ হাইকোর্টের।যেই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে পার্টি করা হয়েছে।
বিচারপতির মৌখিক পর্যবেক্ষণ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চায়ে পে চর্চায় সমস্যা সমাধান হোক। বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান , বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণে নির্দেশে মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হোক। যদি ওই প্রসঙ্গে বিচারপতি জানান আজ মৌখিক জানাচ্ছেন আগামী সময় লিখিতভাবে এই নির্দেশ দেবেন।
মমতার আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আরও সহনশীলতা হতে হবে।” রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, “আমার মক্কেল একদম রাজনৈতিক ব্যক্তি নয়।” তখন পাল্টা কল্যাণ বলেন, “আপনই রাজনৈতিক ব্যক্তি বলেই এই এসাইনমেন্ট পেয়েছেন।”
হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, “আপনি সময় চাইছেন। আপনি কি সিরিয়াস এই ব্যপারটা নিয়ে। রাজ্যপালের কি দরকার মামলা করার?” মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী কল্যাণ বিচারপতির সামনেই বলেন, “রাজ্যপাল এমনিই রক্ষাকবচ পান। এই ধরণের রাজ্যপালের কথা ভাবতে পারলে সংবিধান রচয়িতারা এমন আইন বানাতেন না।
প্রসঙ্গত,লোকসভা নির্বাচনে মধ্যে দুটি বিধানসভা বরানগর ও ভগবানগোলা উপনির্বাচন হয়েছিল। বরানগর বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়ার হোসেন সরকারের শপথ বাক্য পাঠ করা নিয়ে নবান্ন ও রাজ্যে রাজভবন এর মধ্যে তৈরি হয় বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল প্রসঙ্গে যে বক্তব্য রেখেছিলেন এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় রেয়ার হোসেন সরকার ও কুনাল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজ্যপাল সিবি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও অসম্মান জনক কথা বলার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী নির্দেশ বাড়ানো হল।আগামী 9 এপ্রিল শুনানি। নির্দেশ বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের।