বাদ পড়েছে ‘উৎকর্ষকেন্দ্রের’ তালিকা থেকে। তবুও বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় নিজের গৌরব ধরে রাখল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আগের থেকে কিছুটা এগোল র্যাঙ্কিং।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: বিতর্কের মাঝেও বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় নিজের গৌরব ধরে রাখল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ব শিক্ষাক্ষেত্রে আরও একবার স্বকৃীত পেল পশ্চিমবঙ্গ। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়ভিত্তিক তালিকায় ভারতসেরার স্বীকৃতি পেল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও।বরাবরই ধারাবাহিক ভাবে জাতীয় স্তরে ভাল ফল করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই আবহের মধ্যে বরং কিছুটা উন্নতিই করেছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । ২০২৪এ বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৭৪১-৭৫০এ থাকা যাদবপুর এবার ৭২১-৭৩০ র্যাঙ্কে উঠে এসেছে। অন্যদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও ৭৫১-৭৬০ নম্বরে রয়েছে। এবারের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে মোট ৬৯টি ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল । যারমধ্যে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি খড়্গপুরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি। সমীক্ষায় দেখা গেছে ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উন্নতি হয়েছে। তবে যদিও কিছু ক্ষেত্রে পতন ঘটেছে তাও পরিসংখ্যায় উঠে এসেছে। তবে র্যাঙ্কিংয়ে এই উন্নতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ‘ উৎকর্ষ কেন্দ্রের ‘ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যা নিয়ে ছড়িয়েছে বিতর্ক। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ‘নৈরাজ্যের ‘ অভিযোগ উঠেছে। এতকিছু পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিজের গৌরব বজায় রেখেছে বলে মত বিশেষজ্ঞমহল।
অন্যদিকে, এবার কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য দেশের রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় ও পুণে বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরের থেকে কিছুটা এগিয়ে। অন্যদিকে এবারের র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম ভালো ফল করেছে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। যার র্যাঙ্কিং ৫৮০।