ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়- বহরমপুর পুরসভার থেকে বকেয়া না পেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা একগুচ্ছ আবেদনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয় গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, রাজ্য সরকার কে এই বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য সাহায্য করতে হবে পুরসভাকে।, অর্থ দপ্তরের সচিব কে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ। ওই বকেয়া মেটাতে তারা পুরসভা কে সহযোগিতা করবে। পুরসভাও রাজ্যের কাছে আবেদন করবে। পুর কর্তাদের মতে, এর ফলে আগামী দিনে রাজ্যের প্রায় সব পুরসভাতেই অবসরপ্রাপ্ত এমন কর্মীদের ক্ষেত্রে গ্রাচুইটির বকেয়া মেটানোর জন্য সরকারের দ্বারস্থ হতে পারবে পুরসভাগুলি। যদিও এর আগে বিভিন্ন সময় রাজ্য সরকার দাবি করেছে, পুরসভার কর্মীদের গ্রা চুইটি মেটানোর দায়িত্ব পুরসভা কেই নিতে হবে। যদিও সেক্ষেত্রে পাল্টা যুক্তি উঠেছিল, যদি পঞ্চায়েতের কর্মীদের ক্ষেত্রে সরকার সে দায়িত্ব নিতে পারে, তাহলে পুরসভার ক্ষেত্রে নয় কেন। পরবর্তীতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ কয়েক বছর আগে এই বহরমপুর পুরসভারই কয়েকটি মামলায় রাজ্যের অর্থ দপ্তরকে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর গ্র্যাচুইটির টাকা মেটাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রায় তৎখ্যানত কার্যকর করে রাজ্য।
বহরমপুর পুর সভার তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাসের যুক্তি, এর আগে যেহেতু সিঙ্গেল বেঞ্চের দেওয়া একই নির্দেশ রাজ্য কার্যকর করেছে। ফলে এখন সেই একই নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ দিয়েছে। যা রাজ্য কার্যকর করবে বলে আশা করা যায়। আইজিবিদের মতে, রাজ্যের প্রায় সব পূর সভাতেই অবসরপ্রাপ্ত কয়েক হাজার কর্মীর গ্রাচুইটি বাবদ বকেয়া পড়ে রয়েছে। সেই টাকা মেটাতে এখন তারা সকলেই সরকারের কাছে দরবার করতে পারবে। বিচারপতি মান্ধার ডিভিশন বলেছে, আগামী ১০ মাসের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া ৮ শতাংশ সুদ সমেত মেটাতে হবে। আর যদি সেই সময় সীমা পেরিয়ে যায়, তখন পূরসভাকে ১১% সুদ সমেত বকেয়া টাকা মেটাতে হবে কর্মীদের।