ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: এবার জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কগুলিতে নির্দিষ্ট বিধি মেনে ব্যরিকেড, ব্যারিয়ার বা গার্ডরেল দিতে হবে। এই মর্মে রাজ্যকে নির্দেশিকা জারির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়, জাতীয় সড়কগুলিতে কোনও আইন না মেনে যত্রতত্র ব্যরিকেড দেওয়ার জন্য দূর্ঘটনা বাড়ছে। সাধারণত গাড়ির গতি কমানোর জন্য ব্যারিকেড দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট বিধি মেনে ব্যরিকেড দেওয়ায় ব্যরিকেডই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মামলাকারী ধ্রুব মুখোপধ্যোয়ের আরও দাবি, তথ্য জানার আধিকার আইনে আবেদন করলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানায়, জাতীয় সড়তে তারা কোনও ব্যরিকেড দেয় না। আবার পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষই ব্যরিকেড দিয়ে থাকে। মামলাকারীর আইনজীবী নিলাঞ্জন ভট্টাচার্য আরও দাবি করেন, কয়েক দিন আগে ব্যারিকেডের জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের তরফে অবশ্য পাল্টা দাবি করা হয়, রাতের বেলায় যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিন রাজ্য থেকে আসা পন্যবাহী গাড়িগুলির উপর নজরদারি করতে জাতীয় সড়কে ব্যরিকেড বা গার্ডরেল দেওয়া হয়ে থাকে। দুর্ঘটনা ও গাড়ি গতি কমাতে ব্যরিকেড জরুরি।
উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কগুলিতে এমন ভাবে ব্যারিকেড, ব্যরিয়ার বা গার্ডরেলের ব্যবহার করতে হবে যাতে রাত্রি বেলা অন্তত ১০০ মিটার দূর থেকে তা স্পষ্ট দেখা যায়। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, যত্রতত্র ব্যরিকেডের ব্যবহার করা যাবে না। সড়কের ঠিক কোন কোন জায়গায় ব্যরিকেড ব্যবহার করা যাবে তা নির্দিষ্ট করতে রাজ্যকে একটি নির্দেশিকাও জারির ও নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।