যোগ্যদের তালিকা নতুন করে ঢুকল আরও কয়েকশো নাম। ডিআই অফিসে যাওয়া তালিকায় ছিল না ২০১৬-র চাকরিহারাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলের নাম। এবার সেই তালিকায় নাম ঢুকল তাঁর।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- চিন্ময় মণ্ডল। ২০১৬-র চাকরিহারাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ। এসএসসির ডিআই অফিসে দেওয়া প্রথম তালিকায় যার নাম না বিতর্ক তৈরি হয়। এবার চিন্ময় মণ্ডলের নাম ঢুকল ‘যোগ্য’ তালিকায়। নিজের সোশ্যাল সাইটে এবং সাংবাদিকদের এ কথা নিজেই জানিয়েছেন চিন্ময়। লিখেছেন, ‘আন-টেন্টেড যে সব শিক্ষক শিক্ষিকাদের নাম ভুলবশত ছিল না, তাঁদের নাম আসতে শুরু করেছে। আমার নাম আছে। স্যালারি সাবমিট হচ্ছে।’চলতি মাসের ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায় বাতিল হয়েছে ২০১৬ এর প্যানেল চাকরিহারা প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এমএ আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চলতি বছর ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল রয়েছে ২০১৬ এর প্যানেলভুক্ত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি। তারপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া যোগ্য তালিকা ডিআই অফিস থেকে পৌঁছে যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে। কিন্তু এসএসসি-র দেওয়া ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল চিন্ময় মণ্ডলের। কমিশনের ভুলেই তাঁদের নাম বাদ গিয়েছিল বলে তিনি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও কমিশন সেই ভুল দ্রুত ঠিক করা হবে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছিল। যোগ্যের তালিকায় শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা হয়েছে ১৫,৪০৩। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই শিক্ষকেরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন এবং বেতন পাবেন। সেই তালিকায় যুক্ত হল চিন্ময় মণ্ডলের নাম। চিন্ময়ের প্রথম জয়েনিং হয় কসবার ডিআইতে অর্থাৎ ওই জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অন্তর্ভুক্ত এলাকার স্কুলে । তারপর কসবা থেকে ট্রান্সফার নিয়ে ব্যারাকপুর চলে যান চিন্ময়। ব্যারাকপুর ডিআইতেও তালিকায় নাম ছিল না চিন্ময়ের। এই নিয়েই তৈরি হয় তুমুল বিতর্ক। তবে নতুন তালিকায় নাম যুক্ত হওয়ায় খুশি তিনি। চিন্ময় ছাড়াও এই তালিকায় আরও ৫০০ জনের নাম যুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। আরও কয়েকজনের নাম যুক্ত হবে সূত্রের খবর।