স্কুলে যাবেন তালিকায় নাম থাকা যোগ্যরা।
যোগ্যের তালিকায় নাম থাকায় কিছুটা স্বস্থি মিললেও, পুরোপুরি ভাবে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন চলবে। অন্যদিকে তালিকায় নাম না থাকা চাকরিহারাদের জোরালো আন্দোলনের হুঁশিয়ার।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক- স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে গেছে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা। এই তালিকা স্কুলে স্কুলে পৌঁছতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু আন্দোলনকারী ২০১৬ সালের প্যানেলে নাম থাকা যোগ্য শিক্ষক/শিক্ষিকারা । তবে আন্দোলন চলবে বলেও জানান তারা। একদিকে চাকরি বাঁচানোর আন্দোলন আর অন্য দিকে নির্দেশ মেনে ক্লাস করানো। দুটোই করবেন বলে জানিয়েছেন তালিকায় নাম থাকা যোগ্যরা। ৩০ তারিখ থেকে স্কুলে গরমের ছুটি পড়তে চলেছে। তার আগে কয়েকদিন ক্লাস করাতে চান আন্দোলনকারীরা। চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে এসএসসি ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিহারারা। যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা ও মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবি জানিয়ে চলে বিক্ষোভ। তাদের আন্দোলনে দুদিন ধরে ঘেরাও ছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সহ প্রায় ২৪জন এসএসসি ভবনের কর্মী। বুধবার শর্তসাপেক্ষ ঘেরাও মুক্ত হন এসএসসি-এর চেয়ারম্যান। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলা থাকায় তাঁকে এসএসসি অফিস থেকে বেরোনোর অনুমতি দেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা । কিন্তু চেয়ারম্যান বেরোলেও আন্দোলন থামবে না বলে পরিস্কার করে জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। তবে তালিকা প্রকাশে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন যোগ্যরা। তবে চিন্তা নিয়েই স্কুলে যেতে হচ্ছে তাদের। কারণ, ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত তারা স্কুলে যেতে পারবেন ও বেতন পাবেন। কিন্তু স্বসম্মানে চাকরি ফিরে পেতে চান তারা। তাই আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
অন্যদিকে যেসমস্ত চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকায় নাম নেই তারা নতুন করে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে আসরে নেমে পড়েছেন। কেন তালিকায় নাম নেই? তার জবাব চেয়ে বৃহস্পতিবার এসএসসি ভবনের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য, কোন ভিত্তিতে তাদের নাম নেই তালিকায়? তালিকায় নাম না থাকায় তারা স্কুলে যেতে পারবেন কিনা বেতন পাবেন কিনা সব নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তারা জানান, সব নিয়ম মেনে যোগ্য ভাবেই চাকরি পেয়েছেন। তাই চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে চলবে তাদের আন্দোলন।