ছেলে দূরে থাকত কিন্তু নিয়মিত যোগাযোগে থাকত। শেষ বার পয়লা বৈশাখে কথা হয়েছিল। জানতেন ছেলেরা কাশ্মীর যাবে। কিন্তু সেই যাওয়াই যে কাল হবে জানতেন না। কাশ্মিরে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বিতান অধিকারী। তার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিতানের মা
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক: বিতান ফ্লোরিডায় থাকতেন। কলকাতায় এলে তাদের কাছেও আসতেন। মা বাবা বয়স হয়েছে দুজনেরই। গতকাল আচমকাই এই খবর পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুজনেই। ভাবতেই পারছেন না ছেলে আর নেই। সকাল থেকে লাগাতার ফোন আসছে। তবু তার মধ্যেই কথা বললেন আর প্লাসের সঙ্গে। আর প্রতি মুহুর্তে তার বুক চিরে বেড়িয়ে এল সেই যন্ত্রণা। সন্তানশোকের সামনে কোন সমবেদনাই কাজ করে না। বাবা তো বিশ্বাসই করতে পারছেন না ছেলে আর নেই। মা জানালেন বিতান খুব খেতে ভালোবাসতেন। ছোটবেলায় তাকে জড়িয়ে ঘুমাতেন। আর কখনও বিতানকে ওইভাবে পাবেন না। এই যন্ত্রণা মিটবে কি করে? জানেন না বিতানের মা।