পাকিস্তান সেনার “চিফ অফ আর্মি স্টাফ” জেনারেল আসিম মুনিরকে পদত্যাগ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওমের আহমেদ বোখারি। এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৫০ জন আধিকারিক ও ১ হাজার ২০০ জন জওয়ানের পদত্যাগের বিষয়টি। আসিম মুনিরের উপর জওয়ানদের আস্থা নেই বলে জানা গেছে।
সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক- কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। ২৬ জন ভারতীয় নাগরিককে নির্বিচারে হত্যার দায় দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। যদিও সেই দায় এড়িয়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে আরও টালমাটাল অবস্থা পাকিস্তানের। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি খবরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রায় ১ হাজারেরও বেশি জওয়ান। সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি স্থগিত হওয়ার পরেই পাকিস্তানের যুদ্ধ মনোভাবাপন্নতা স্পষ্ট। পাকিস্তান সেনার “চিফ অফ আর্মি স্টাফ” জেনারেল আসিম মুনিরকে পদত্যাগ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওমের আহমেদ বোখারি। এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৫০ জন আধিকারিক ও ১ হাজার ২০০ জন জওয়ানের পদত্যাগের বিষয়টি। আসিম মুনিরের উপর জওয়ানদের আস্থা নেই বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এটাও জানা গেছে যে, আসিম মুনিরের সঙ্গে পাক সরকারের সুসম্পর্ক নেই। ফলে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে পাক সেনা বাহিনীর চিফ অফ আর্মি স্টাফের উপর। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর থেকেই সীমান্তের বিভিন্ন সেক্টরে রাত হলেই গুলি বর্ষণ করছে পাক সেনাবাহিনী। এমনকি সোমবার ভোরে পুঞ্চ এলাকায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। ঘটনাচক্রে, পহেলগাঁওয়ে হামলার পর থেকে পাক সেনার তরফে সীমান্তে গোলা-গুলি বর্ষণ বেড়েছে অনেকাংশে। তবে সেদিনের হামলার দায় নিতে নারাজ পাক প্রশাসন। একদিকে পাক সরকার বলছে নিরপেক্ষ তদন্তের কথা আবার অন্যদিকে পাক নেতাদের একাংশ যুদ্ধের মনোভাব দেখাচ্ছেন। এমতাবস্থায় পাকিস্তান শত্রু পক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করা তো দূরঅস্ত, নিজের দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে পারবে কিনা তাই প্রশ্ন চিহ্নর মুখে দাঁড়িয়ে! ২২শে এপ্রিলের ঘটনার বিষয়টি লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ (TRF) প্রাথমিকভাবে দায় নিলেও, পাক প্রশাসন দায় এড়িয়ে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই ওই সংগঠনও ঘটনার দায় অস্বীকার করে।