সরকারের প্রতি চাপ বাড়াতে ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনে। রিভিউ পিটিশন” না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে যাবেন না চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এসএসসি ভবনের সামনে চলবে আন্দোলন।
নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক-আন্দোলন অব্যাহত এসএসসি ভবনের সামনে। রিভিউ পিটিশন না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে যাবেন না চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আন্দোলন চলবে, বক্তব্য আন্দোলনকারীদের। ক্রমশই ঝাঁঝ বাড়ছে চাকরিহারাদের আন্দোলনের। সোমবার থেকে এসএসসি ভবনের সামনে আন্দোলনে সামিল চাকরিহারারা। তাদের আন্দোলনে দুদিন ধরে ঘেরাও ছিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সহ প্রায় ২৪জন এসএসসি ভবনের কর্মী। বুধবার শর্তসাপেক্ষ ঘেরাও মুক্ত হন এসএসসি-এর চেয়ারম্যান। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলা থাকায় তাঁকে এসএসসি অফিস থেকে বেরোনোর অনুমতি দেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা । কিন্তু চেয়ারম্যান বেরোলেও আন্দোলন থামবে না বলে পরিস্কার করে জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার হাইকোর্টে ওএমআর সংক্রান্ত মামলা থাকায় চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আবেদন আসে তাঁকে ছাড়ার। কোর্টে এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে বলে তাঁকে ছাড়া হয়। আদালতের জটে আটকে রয়েছে তারা৷ তাই এমন কোনও কাজ করতে চাই না যাতে আবার কোর্টে তারা আটকে যাই ৷
২১এপ্রিল সোমবার যোগ্য -অযোগ্যের তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও কিন্তু সেই তালিকা প্রকাশের আইনি অনুমতি ছিল না৷ তাই সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । যার জেরে সোমবার থেকেই অবস্থানে রয়েছেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা । সেই তালিকার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন ৷ চলছে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি। আর চাকরিহারাদের বিক্ষোভের ফলে অফিসের ভিতরে দু’দিন ধরে আটকে ছিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার । তাঁর সঙ্গে আটকে ছিলেন এসএসসি অফিসের আরও ২৪ জম জন কর্মী । তবে বুধবার হাইকোর্টে মামলার জন্য এসএসসির চেয়ারম্যানকে ছাড়া হলেও আন্দোলনকারীরা বাকি কর্মীদের ঘেরাও করে রেখেছেন ৷ অন্যদিকে যে তালিকার জন্য অপেক্ষা করছেন চাকরিহারারা। মঙ্গলবার শিক্ষা দফতরে একটি তালিকা পাঠায় এসএসসি । সেখানে রয়েছে যোগ্য শিক্ষকদের নাম, যা ইতিমধ্যেই স্কুল জেলা পরিদর্শকদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে । সূত্রের খবর, সেই তালিকায় প্রায় ১৫ হাজার ৪০৩ জন কে যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকা প্রকাশ্যে আনা হোক এমনটাই চান চাকরিহারারা। দিকেই তাকিয়ে অবস্থানরত ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকরা । তাই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি তাঁদের।